জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নির্বাচন কমিশন শনিবার জানিয়েছে যে ‘শহুরে উদাসীনতা’ সিমলা থেকে সুরাট পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। গুজরাটের ভোটারদের কম ভোটদানের হার বাড়ানোর জন্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় বেশি সংখ্যায় ভোটদানের জন্য আবেদন করেছে। কমিশন জানিয়েছে এক ডিসেম্বর প্রথম দফার ভোটে গুজরাটের অনেকগুলি কেন্দ্রে ভোটদানের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু সুরাট, রাজকোট এবং জামনগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলিতে ভোটদানের প্রতি শহুরে উদাসীনতার কারণে সামগ্রিক ভোটদানের হার হ্রাস পেয়েছে। হিমাচল প্রদেশের শহুরে নির্বাচনী এলাকায়, গত মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে অনেক ভোটার ভোট দিনে আসেননি। হিমাচল প্রদেশের সিমলার শহুরে বিধানসভা আসনটি রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে। এখানে ৬২.৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে যা রাজ্যের গড় ৭৫.৬ শতাংশ ভোটদানের হারের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইসি বলেছে যে গুজরাটের শহরগুলিতেও ভোটদানের ক্ষেত্রে শহুরে উদাসীনতার একটি প্রবণতা দেখিয়েছে। এরফলে প্রথম দফায় সামগ্রিক ভোটদানের হার কম হয়েছে।


সুরাট, রাজকোট এবং জামনগরের কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের মোট ৬৩.৩ শতাংশের তুলনায় কম ছিল বলে জানিয়েছে ইসি।


ভোটারদের উপস্থিতির উদ্বেগজনক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার গুজরাটের ভোটারদের পাঁচ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোটের সময় বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়ে প্রথম পর্বের কম ভোটদানের হার পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়ছেন।


পোল প্যানেল জানিয়েছে ‘২০১৭ সালের ভোটদানের হারকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন শুধুমাত্র ভোটারদের বর্ধিত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব’।


ইসি জানিয়েছে, কচ্ছ জেলার গান্ধীধাম বিধানসভা, যেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে সর্বনিম্ন ভোটদানের হার রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা ২০১৭ সালের গত নির্বাচনের তুলনায় ৬.৩৪ শতাংশ কম। এটি সর্বনিম্ন ভোটদানের ক্ষেত্রে একটি নতুন রেকর্ড করেছে।


আরও পড়ুন: Bharat Jodo Yatra: রাজস্থানে ঢুকল ভারত জোড়ো যাত্রা, সমাধান হবে গেহলোত-পাইলট সমস্যার?


দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ভোটদান হয় সুরাটের করঞ্জ নির্বাচনী এলাকায়। এখানে ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন ভটদান হয়। এই সংখ্যা ছিল ৫৫.৯১ শতাংশ। এই বছর সেই ভোটদানের হার আরও কমেছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ৫.৩৭ শতাংশ কমেছে ভোটদানের হার।


 



নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ‘গুজরাটের প্রধান শহর এবং শহুরে অঞ্চলগুলিতে ২০১৭ সালের নির্বাচনের তুলনায় ভোটের হার কমার পাশাপাশি, রাজ্যের গড় ৬৩.৩ শতাংশ হারের তুলনায় অনেক কম ভোট দিয়েছে। রাজকোট পশ্চিমে এই ১০.৫৬ শতাংশ পতন খুবই গুরুতর।


ইসি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটদানের হার যদি ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাদের নিজস্ব ভোটদানের হারের সমান হত, তাহলে রাজ্যে গড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোটদান হত’।


গ্রামীণ এবং শহুরে নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ভোটদানের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য দেখা গিয়েছে বোলে জানিয়েছে ইসি।


নর্মদা জেলার দেড়িয়াপাড়ের গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকায় ভোটদানের হার ছিল ৮২.৭১ শতাংশ এবং গান্ধীধামের শহুরে আসনে ভোটদানের হার ছিল ৪৭.৮৬ শতাংশ। এই দুই আসনের মধ্যে ভটদানের হারের পার্থক্য ছিল ৩৪.৮৫ পারসেন্টেজ পয়েন্ট।


 



এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ শহরাঞ্চলে গড় ভোটদান গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকার তুলনায় কম।


ইসি জানিয়েছে, ‘অনেক জেলায়, গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকায় শহুরে নির্বাচনী এলাকাগুলির তুলনায় অনেক বেশি ভোট পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রাজকোটে, সমস্ত শহুরে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটদানের হার কমেছে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)