নিজস্ব প্রতিবেদন: আরবিআইয়ের গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উর্জিত প্যাটেল। তাঁর পদত্যাগের পরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক। আর সেই চাপেই একপ্রকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন উর্জিত প্যাটেল। উর্জিতের ইস্তফার পরই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সদ্য প্রাক্তন আরবিআই গভর্নরের প্রশস্তি গাইলেন নমো। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করলেন।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উর্জিত প্যাটেলের সুখ্যাতি করে মোদী টুইটারে লেখেন,''বড়মাপের অর্থনীতিবিদ উর্জিত প্যাটেল। ক্ষু্দ্র অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে এলোমেলো অবস্থা থেকে সঠিক পথে এনেছেন উনি। বিরাট ছাপ ছেড়ে গেলেন উর্জিত প্যাটেল। আমরা তাঁর অভাব অনুভব করব। তাঁর নেতৃত্বে আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরেছে ''।     




এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। আরবিআইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গভর্নর এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। আরবিআইয়ের বোর্ড, অধিকর্তা এবং কর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন উর্জিত প্যাটেল।


পদত্যাগের কারণ ব্যক্তিগত দেখালেও বিরোধীদের দাবি, সরকারের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন উর্জিত প্যাটেল। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ ৩.৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব গিয়েছিল আরবিআইয়ের কাছে। আরবিআইয়ের কাছে বর্তমানে জমা অর্থের পরিমাণ ৯.৫৯ লক্ষ কোটি। সেই অর্থের এক তৃতীয়াংশের বেশি টাকা চাওয়া হয়। লোকসভার নির্বাচনের মুখে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য ক্রমাগত চাপ তৈরি করে কেন্দ্র। অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলির ঋণনীতি বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে শিথিল করা কথা বলা হয়। তবে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ব্যাঙ্কগুলি যতক্ষণ না নিজেদের স্বাস্থ্য ফেরাচ্ছে, আরোপিত ঋণনীতির উপর হস্তক্ষেপ করবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এছাড়া নগদহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলিকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারেও কেন্দ্রের দাবি নাকচ করেন উর্জিত প্যাটেল।


আরও পড়ুন- আরবিআইয়ের উদ্বৃত্ত অর্থ সরানো নিয়ে সরকারের চাপ সামলাতে পারলেন না উর্জিত?