নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিরক্ষা ও মহাকাশে অসামরিক কাজের জন্য ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্র‌যুক্তি মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনতে পারবে ভারত। সেই সু‌যোগ করে দিতে প্রথা ভেঙে ভারতকে স্ট্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন-১ এর ম‌র্যাদা দিল ট্রাম্প প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণ এসিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এই ম‌র্যাদা পেল ভারত। পাশাপাশি, দুনিয়ার এতদিন মোট ৩৬টি দেশকে এই ম‌র্যাদা দিয়েছিল মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র। এবার ভারত সেই তালিকায় ৩৭তম দেশ হিসেবে ‌যুক্ত হল।


আরও পড়ুন-কসবার হোটেলে ঘাঁটি গেড়েই শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতির ব্লুপ্রিন্ট আঁকে হ্যাকাররা


স্ট্যাটেজিক ট্রেড অথেনটিকেশন-১ আসলে কী? এটিকে এক ধরনের লাইসেন্স বলা ‌যায়। এটি থাকলে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র ‌যেসব প্র‌যুক্তি বিদেশে বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা আর থাকবে না। চিন, এমনকি ইজরায়েলের কাছে এই এসটিএ-১ এর ম‌র্যাদা নেই।


ভারত এনএসজি গ্রুপে নেই। মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র ওই ম‌র্যাদা এতদিন ‌যাদের দিয়েছে তারা সবাই এনএসজি গ্রুপের সদস্য। কিন্তু তার পরেও ভারতকে ওই ম‌র্যাদা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, চিনকে চাপে রাখতেই প্রথা ভেঙে ওই পদক্ষেপ নিল ট্রাম্প প্রশাসন। এনএসজি গ্রুপে না থাকায় বন্ধু ইজরায়েলকেও ওই ম‌র্যাদা দেয়নি মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিষয়টির গুত্ব সহ‌জেই অনুময়ে।


আরও পড়ুন-ভুল করে রয়ে গিয়েছে পুরনো নম্বর, আধার হেল্পলাইন বিতর্কে কবুল করল Google


মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একটি বিবৃতিতে জাননো হয়েছে, এসটিএ-১ ম‌র্যাদা পাওয়ার পর ভারত মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহ‌যোগীর ম‌র্যাদা ভোগ করবে। প্রসঙ্গত, মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের এসটিএ-১ এর তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো দেশ।


উল্লেখ্য, ভারত, পাকিস্তান ও চিন দক্ষিণ এসিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। রাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রেও দুই দেশের ‌যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র ‌যেসব সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে তাতে ভারত অনেকটাই সুবিধে পাবে। কিন্তু তাতে চিন অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।