ওয়েব ডেস্ক: বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি। মোদী-কে আটকাতে মায়াবতীর হাত ধরতে যে তাঁদের আপত্তি নেই, চব্বিশ ঘণ্টাকে তা খোলাখুলি জানালেন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা নরেশ আগরওয়াল। আসন কম পড়লে বিজেপিরও ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন বহেনজি। ভোটের ফল বেরনোর আগে গোমতীর তিরে নবাবি শহরে এখন জল্পনায় শুধুই মায়ার খেলা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লখনউয়ে বিক্রমাদিত্য মার্গে সমাজবাদী পার্টির হেড কোয়ার্টার। ভোটের ফল বেরনোর আগের দিন অফিসের সামনের রাস্তা প্রায় ফাঁকা। নেতারা সবাই অঙ্ক কষতে ব্যস্ত। কর্মীরা চাপা টেনশনে।  প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই যে বলছে, ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি। কেউ কেউ মোদীকে জিতিয়ে দিলেও ত্রিশঙ্কুর সম্ভাবনা, তা দিচ্ছে নতুন সমীকরণে।  


সব বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই তিন নম্বরে মায়াবতী। কিন্তু, তাঁর হাতেই থাকছে সরকার গঠনের চাবিকাঠি। কিং মেকার? বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বেরনোর পরই অখিলেশ-রাহুলকে মায়াবতীর সমর্থনের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ঘুরিয়ে বহেনজির সমর্থন চেয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন খোদ অখিলেশ যাদব। শুক্রবার, লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা নরেশ আগরওয়ালও ২৪ ঘণ্টাকে স্পষ্ট জানালেন, মায়াবতীকে নিয়ে তাঁদের কোনও ছুতমার্গ নেই। সাইকেলের চালক ভোটের ফলাফল নিয়ে সংশয়ে থাকলেও পিছনের সওয়ারি কিন্তু ক্যামেরার সামনে কনফিডেন্স দেখাতে ছাড়ছেন না। 


কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা পোড় খাওয়া নেত্রী রীতা বহুগুণা যোশীও একইরকম কনফিডেন্ট। ২৪ ঘণ্টার কাছে তাঁর দাবি, সপা-কং জোটে মায়াবতীর পা রাখার সম্ভাবনাই তৈরি হবে না। রাজনৈতিক মহল কিন্তু বলছে, ভোটের ফল বেরনোর আগে কংগ্রেস- সমাজবাদী পার্টি-বিজেপি, সামনে যতই আত্মবিশ্বাস দেখাক না কেন, তারা সকলেই এখন মায়াবতীর দিকে তাকিয়ে। আসন কম পড়লে ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন বহেনজি। লখনউয়ের গদিতে কে বসবেন তা তিনিই ঠিক করে দিতে পারেন।