নিজস্ব প্রতিবেদন: আক্ষরিক অর্থেই গৈরিকীকরণ। হ্যাঁ, ইউপির শহরের রঙ বদলে এবার গেরুয়া করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজের বসার চেয়ার থেকে শুরু করে স্কুলের পাঠ্য পুস্তক, যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ইউপি হতে চলেছে গেরুয়া রাজ্য। এমনিতে ইউপির রাজ্য রাজনীতিতে গৈরিকীকরণ হয়েছে আগেই, এবার সরাসরি আমআদমির জীবনযাত্রাতেও 'রাজনীতির রং' ঢুকিয়ে দিতে চলেছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশে এমনটা প্রথমবার ঘটছে, তেমনটা একেবারেই নয়। এর আগে যখন মায়াবতী ক্ষমতায় ছিলেন তখন নীল এবং অখিলেশ শাসন চলার সময় উত্তরপ্রদেশ দেখছে লাল-সবুজের 'রাজনীতি'। সরকারি পরিবহন, সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগ, সবই রাজনীতির শাসন অনুযায়ী সময়ে সময়ে বদলে গিয়েছে ইউপিতে। এবার 'রং রাজনীতিতে' নীল, লাল-সবুজকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপির পতাকার রং গেরুয়া। ইতিমধ্যেই 'সংকল্প সেবা' প্রকল্পে ৫০টি সরকারি বাসের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, যার সবকটিই গেরুয়া রঙের। উল্লেখ্য, অগাস্টে রাজ্যের ক্রীড়া দুনিয়ার কৃতীদের যে 'লক্ষ্মণ এবং রানি লক্ষ্মী বাই' পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে তার শংসাপত্রের রঙও ছিল গেরুয়া। 


যোগী মন্ত্রিসভার মন্ত্রী তথা ইউপিতে বিজেপির মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, "আমাদের সব রঙই পছন্দ। কিন্তু গেরেুয়া সবথেকে বেশি পছন্দ। কারণ, এই রং ত্যাগের প্রতীক। ভারতের জাতীয় পতাকাতেও আছে গেরুয়া রং। আত্মবলিদান আর সাহসের প্রতীক এই গেরুয়া রং তাই এতে কারোর আপত্তি থাকতে পারে না।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "রং পছন্দের বিষয়টি কাকতালীয়। এখানে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে গেরুয়া রং বেছে নেওয়া হয়নি। সরকার সবার। আমাদের স্কিমে সব মানুষ পরিষেবা পাবে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।" 


এই রং রাজনীতিতে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের নীল-সাদা রঙে রঙিন হয়েছে কল্লোলিনী। কলকাতার রাস্তা, উড়ালপুল, বাস এমনকি বাড়ির রঙও বদলেছে সাদা-নীলে।