নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষায় আয়েস করে তেঁতুল জলে চোবানো সাধের ফুচকা খেতে পারবেন না তাঁরা। আর বিশেষ করে মহিলারা। কারণ ফুচকার প্রতি টান নেই, এমন মহিলার সংখ্যা হাতেগোনা। অথচ সেই ফুচকাই যদি গোটা শহরে না পাওয়া যায়! এটাও কি সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছে। ভাদোদরার বাসিন্দাদের জন্য এই খবরটা মোটেই সুখের নয়। সে শহরে নিষিদ্ধ হল ফুচকা বিক্রি। কেন? পুরসভার দাবি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে বিধি রয়েছে তা মেনে চলছেন না ফুচকাবিক্রেতারা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাদোদরা পুরসভার দাবি, পানিপুরি তৈরির ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন না বিক্রেতারা। তার ফলে ফুচকা খেয়ে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক। সে কারণে আপাতত বর্ষাকালে ফুচকার বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাদোদরা পুরসভা।    


দেশজুড়ে বর্ষা চলছে। বৃষ্টিতে ভিজছে  দিল্লি, মুম্বই থেকে কলকাতা। এই সময়ে জলবাহিত রোগ যেমন টাইফয়েড ও জন্ডিসের মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাদোদরা পুরসভা। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের দাবি, এই সময়ে অপরিচ্ছন্নভাবে তৈরি ফুচকা খেলে টাইফয়েড ও জন্ডিস হতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই ফুচকা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত।   


ভাদোদরা যে সব জায়গায় পানিপুরি তৈরি হয়, সেখানে তল্লাশি চালান পুরসভার স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। তল্লাশি চালিয়ে পচা আলু, নোংরা জল ও নিম্নমানের তেল বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা। পুরসভার বক্তব্য, প্রায় ৫০টি পানিপুরী তৈরির কারখানা রয়েছে। ৩৫০০ কেজি আলু ও কাবলি ছোলা, ৪০০০ কেজি ফুচকা ও ১২০০ লিটার অপরিষ্কার জল ফেলে দিয়েছে তারা। পুরসভার এহেন পদক্ষেপের জেরে লোকসানের মুখে পড়েছেন ফুচকা বিক্রেতারা। 


পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, জলবাহিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর খাবার যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে পুরসভা।তবে শুধুমাত্র ফুচকা বিক্রি বন্ধ করেই কি রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব? গরিব ফুচকা বিক্রেতাদেরই বা সংসার চলবে কীভাবে? এই ধরনের সিদ্ধান্ত আদতে কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্নও উঠছে। পুরসভার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি ফুচকা তৈরি করেন বিক্রেতারা, তাহলে কোথায় সমস্যা? এটা মশা মারতে কামান দাগা হয়ে গেল না তো!  এ নিয়ে অবশ্য পুরসভার কাছ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 


আরও পড়ুন- মমতার হিন্দু ধর্ম ছেড়ে দেওয়া উচিত, মন্তব্য রাজস্থানের মন্ত্রীর