নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু ও কাশ্মীরের হান্ডওয়াড়ায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারানো ৫ জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। "ওঁদের আত্মবলিদান আমরা ভুলব না," টুইটে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে মোদী টুইটে লেখেন, "হান্ডওয়াড়াতে শহিদ আমাদের বীর জওয়ানদের আমার শ্রদ্ধা জানাই। ওঁদের সাহস ও ত্যাগ কোনওদিন ভোলার নয়।" তিনি লেখেন, "ওঁরা অক্লান্তভাবে দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।"



করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপ। রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হান্ডওয়াড়া এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গিদের ঘাঁটি করার খবর পায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। এরপর পুলিস ও সেনার একটি যৌথ বাহিনী সেখানে হানা দেয়। দীর্ঘক্ষণ জঙ্গি ও নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিস, দুই সেনা সহ এক কর্নেল এবং এক মেজর।


সেনা ও পুলিসের পাল্টা আক্রমণে ২ জঙ্গিও খতম হয়। এলাকার সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবং তাঁদের সেখান থেকে সাবধানে সরিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন জওয়ানরা। তবে, কোনও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হতে দেননি জওয়ানরা। তাঁদের প্রত্যেককে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেন তাঁরা। 


গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বারবার করোনা সংক্রমণের মধ্যেই রক্ত ঝড়েছে উপত্যকায়। এর আগে কুলমাগে চার হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিকে খতম করেছিল নিরাপত্তা রক্ষীরা। ফের এই ঘটনা। করোনা সংক্রমণের মাঝেই বারবার জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতার ছক করে চলেছে জঙ্গিরা। তবে এই ঘটনায় কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির খবর মেলেনি। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা।


আরও পড়ুন: শুধু লকডাউন নয়, করোনা থেকে বাঁচতে মানতেই হবে এই নিয়মগুলি