ওয়েব ডেস্ক: গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রভাব একাধিক মামলায় পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। তবে এই রায়ের পর আধারের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা কোন দিকে যায়, এখন সেদিকেই নজর গোটা দেশের।  
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এখন ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন। গোপনীয়তা রক্ষা মৌলিক অধিকার, তাহলে আধার মামলার ভবিষ্যত কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আধারে বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ হচ্ছে। সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে আয়কর জমা বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও আধার আবশ্যিক করায় ব্যক্তিগত তথ্য আর গোপন থাকছে না। এই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ৫ বিচারপতির অন্য বেঞ্চে আধার মামলায়, গোপনীয়তা অধিকার নিয়ে ৯ বিচারপতির বেঞ্চের রায় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


ইউপিএ সরকারই প্রথম আধার কার্ড শুরু করলেও, সুপ্রিম কোর্টের রায় মোদী সরকারের বিপক্ষে যাওয়ায় আক্রমণ শানাচ্ছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর টুইট, শীর্ষ আদালতের রায় ফ্যাসিস্ট শক্তির কাছে বড় আঘাত। নজরদারির মাধ্যমে বিজেপির দমননীতিকে রুখে দিয়েছে এই রায়। নানা ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে গোড়া থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এ দিন স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।


সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের অবস্থান ছিল, গোপনীয়তার অধিকার, আইনি অধিকার হলেও মৌলিক অধিকার নয়। রায়ের পর কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মৌলিক অধিকারও সীমাহীন নয়। আইনজ্ঞরা বলছেন, গোপনীয়তা রক্ষা, মৌলিক অধিকারের মর্যাদা না পেলে আধারের বৈধতা সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের পক্ষে আইনি লড়াই সহজ হতো। এখন, আধার মামলায় কেন্দ্র এই যুক্তিই দিতে চাইবে যে, কোনও মৌলিক অধিকারই অবাধ নয়।