লখনউ: এবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর লোকসভা নির্বাচনীকেন্দ্রে 'ঘর ওয়াপাসি' (ঘরে ফেরা)-এর আয়োজন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রায় বারেলি জেলার ইউনিট প্রধান হরিশ চন্দ্র শর্মা সোমবার ঘোষণা করেছেন ওই অঞ্চলের ৬০টি পরিবার নাকি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তকরণে 'রাজি'। তাঁর দাবি এই পরিবারগুলিকে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনওরকম ভয় বা লোভ দেখানো হয়নি। 'স্বইচ্ছাতেই' এই পরিবারগুলি হিন্দু ধর্ম গ্রহণে এয়াজি বলে দাবি শর্মার।


হরিশ শর্মা অভিযোগ করেছেন, কিছু ভণ্ড-ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ও নেতা 'ঘর ওয়াপাসি'-র উপর ধর্মের রঙ চড়াচ্ছেন। তাঁর দাবি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহযোগীদের একটা সামান্য পদক্ষেপ এই ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া।


এই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা জানিয়েছেন, তাঁরা ঠিক করেছেন ওই অঞ্চলের ১০০টি পরিবার এই ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়ায় রাজি হলেই তাঁরা 'ঘর ওয়াপাসি'-র নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করবেন।


রায় বারেলির ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসন আদেশ অনুযায়ী এই ধরণের কোনও অনুষ্ঠানেরই অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর অঞ্চলে এই ধরণের ধর্মান্তকরণের কোনও প্রক্রিয়ার কথা তাঁর জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।


আগ্রাতে হিন্দু ধর্মে গণ ধর্মান্তকরণের পর সারা দেশ, বিশেষত উত্তর-মধ্য ভারতের গেরুয়া সংগঠনগুলি 'ঘর ওয়াপাসি' নাম নিয়ে এই ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া ছড়িয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের দাবি যাঁরা কোনও এক সময় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরাই নাকি স্বইচ্ছায় ফের হিন্দু ধর্মে ফিরতে চাইছেন।


ইতিমধ্যে, সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক জামিরুল্লাহ একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছেন। আলিগড়ে তৈরি হয়েছে একটি কন্ট্রোলরুম। এই ধরণের কোনও ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অভিযোগ জানাবার জন্য এই হেল্প নাম্বার চালু করা হয়েছে।