ভিডিয়ো: জয়পুর স্টেশনের কুলি নম্বর ১৫! নারী দিবসে মঞ্জুকে কুর্নিশ রেলমন্ত্রকের
মঞ্জু দেবী উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের প্রথম মহিলা কুলি। তিনি মনে করেন পুরুষ এবং মহিলা সমান, কোনও কাজই কঠিন নয়। মঞ্জু এক লড়াইয়ের আরেক নাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরেক খণ্ডচিত্র ভাইরাল হয়েছে নারী দিবসে। ইনি হলেন মঞ্জু দেবী। জয়পুর রেলস্টেশনে গেলে দেখা মিলতে পারে এই মহিলার। হ্যাঁ, পোশাক আশাক দেখে ঠিকই চিনেছেন। ইনি একজন কুলি। এক ব্যতিক্রমী। মাল বাহকের কাজ করেন মঞ্জু। সম্প্রতি তাঁর ছবি পোস্ট করে টুইট করেছে রেলমন্ত্রকও। বাদ যাননি সেলেবরাও।
মহিলারা এই পেশায় সাধারণত আসেন না। তবে মঞ্জু এসেছেন। আর কুলি হিসেবে মাল বহন করে বিগত ১০ বছর ধরে মঞ্জু দেবী একা সংসারের রুটিরুজি জুগিয়ে আসছেন। মঞ্জু দেবীর স্বামী মহাদেব জয়পুর স্টেশনেরই ১৫ নং কুলি ছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর পায়ের তলার মাটিটা ক্রমে সরে যেতে থাকে মঞ্জুর। সন্তান-শাশুড়িকে নিয়ে তিনি কোথায় যাবেন। ৩ সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার আর কোনও বিকল্প মঞ্জু দেবীর জানাও ছিল না। তখনই মঞ্জু একটা পথ খুঁজে পান। আর সেই পথ ধরে হাঁটতে শুরু করে স্বামীর লাইসেন্স জোগাড় করেন মঞ্জু।
আরও পড়ুন: মুরগির মাংসে করোনার গুজব! ক্রেতাদের অভিযোগ, আকাশ ছুঁয়েছে খাসির দাম
তবে লাইসেন্স জোগার করার পরও এই পেশা প্রবেশের পথটা মসৃণ ছিল না। রেলের অনেক অফিসার নাকি আপত্তি জানান। আপত্তি, কারণ মহিলাদের পক্ষে এই কাজ যথেষ্ট শ্রমসাধ্য। তবে হার মানতে নারাজ ছিলেন মঞ্জু। তিনি রীতিমতো জোর করেই এই পথে এগিয়ে আসেন। সাদা সালোয়ার আর লাল কুর্তায় নিজের উর্দি বানিয়ে কাজে লেগে পড়েছেন তিনি। এখন প্রতিদিন ৩০ কেজির মাল বহন করেন মঞ্জু। কিন্তু তিন সন্তানের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার কর্তব্যের খাতিরে এই বোঝা ভারি মনে হয় না।
মঞ্জুদেবী উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের প্রথম মহিলা কুলি। তিনি মনে করেন পুরুষ এবং মহিলা সমান, কোনও কাজই কঠিন নয়। মঞ্জু এক লড়াইয়ের আরেক নাম। তাই তো সরকারও তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। মঞ্জুকে কুর্নিশ জানিয়েছে স্যোশাল মিডিয়াও।