নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন সীমান্তে যোগ্য জবাবে তৈরি ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারত-চিন সংঘাতের মধ্যে (India-China Standoff) লাদাখের ফরওয়ার্ড এয়ারবেসে ঘনঘন ওঠানামা করছে যুদ্ধবিমান। আকাশে চক্কর কাটছে এমকেআই, মিগ-২৯, সুখোই, আপাচে, চিনুক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) লাদাখ সফরের পরেরদিনই তৎপর IAF (Indian Air Force)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার লাদাখে সেনার ফরওয়ার্ড পোস্টে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেনার পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল,আমি আছি,দেশ আছে আপনাদের পাশে। প্রধানমন্ত্রী এও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের বংশীধারী রূপের পুজো হয় এদেশে, আমার সুদর্শনধারী কৃষ্ণও আদর্শ। এতেই যেন কয়েকশো গুণ বেড়ে গিয়েছে বাহিনীর জোশ! শনিবার ভারত-চিন সীমান্তে জোর তৎপরতা। ড্রাগন চোখ রাঙাতে এলে দেওয়া হবে যোগ্য জবাব। আকাশে নিয়মিত টহল দিচ্ছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। সুখোই, মিগের পাশাপাশি উড়ছে অ্যাপাচে অ্যাটাক কপ্টার। লাগাতার চলছে চিনুকের কড়া নজরদারি। 



শুধু ফাইটার জেটই নয়। সমরাস্ত্র বহনকারী বিমানও নিত্য ওঠানামা করছে ফরওয়ার্ড এয়ারবেসে। আমেরিকার C-17, C-130J-র পাশাপাশি রুশ বিমান ইলুশিন-76 ও আন্তোনভ-32-তে নিয়মিত যাতায়াত করছেন সেনাকর্মীরা। পৌছে যাচ্ছে রসদ। ভারতের সামরিক সজ্জা,আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষামূলক। বায়ুসেনার এক উইং কম্যান্ডারের কথায়, সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম ও জওয়ান আমাদের রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি অভিযান ও সেনাকে সহায়তা করতে তৈরি আইএএফ।''



বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডারের কথায়,''সীমান্তের চ্যালেঞ্জ নিতে সব যোদ্ধাই সক্ষম ও প্রশিক্ষিত। আমাদের জোশ সবসময় উপরেই থাকে।''



 


লাদাখের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনের নাম না করে হুঙ্কার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আঘাত আসলে প্রত্যাঘাতের ভাষাটাও যে ভারত ভালোই জানে। মহড়া সেরে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে সেনাও।


আরও পড়ুন- হাসপাতালে জওয়ানদের সঙ্গে PM Modi-র সাক্ষাৎ নিয়ে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে: সেনা