নিজস্ব প্রতিবেদন: আপ-উপরাজ্যপাল সংঘাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডুরা। প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের অনুরোধও করেছেন। এনিয়েই বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল। দিল্লিতে কীভাবে সমস্যা তৈরি হল, মুখ্যমন্ত্রীরা কি জানেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজয় গোয়েল বলেন,''কীভাবে এই সমস্যা হল, তা কি জানেন চার মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লির মুখ্যসচিবকে যখন হেনস্থা করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন ওনারা? সেখান থেকেই সমস্যার শুরু।''



উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করেন আইএএস আধিকারিকরা। কেজরির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী ও উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন আইএএস আধিকারিকরা।আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ৭ দিন ধরে ধর্ণায় বসে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ-মু্খমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল রাই।


শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উপ-রাজ্যপালের সময় চান পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে সেই অনুরোধ রাখেননি অনিল বৈজল। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে টুইটারে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ''মনে হয় না, উপরাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'' 


এরপর সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''গণতন্ত্রে বিরোধী দলেরও মর্যাদা আছে। দিল্লি দেশের রাজধানী। ৪ মাস ধরে এখানে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৬ সেকেন্ডে সময় দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। ভুক্তভোগী হন সাধারণ মানুষই।'' 


আরও পড়ুন- গণধর্ষণে অভিযুক্ত দাতী মহারাজের আশ্রম থেকে নিঁখোজ ৬০০ মহিলা!