নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। ব্রিটেনে আদালতে তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য জোরালো সওয়াল করা হয়েছে। মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের মঞ্জুরি দিয়েছে ব্রিটেনের আদালত। তবে রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার সময় পাচ্ছেন ঋণখেলাপকারী বিজয় মালিয়া। সেই পলাতক ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ালেন মোদীর মন্ত্রিসভার এক সদস্য। আর তিনি যে সে নন, দেশের পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীই বিজয় মালিয়ার হয়ে সওয়াল করলেন। তাঁর যুক্তি, ঋণখেলাপ করায় একজন ব্যবসায়ীকে প্রতারক বলাটা অনৈতিক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিমানশিল্পে বড় লোকসানের জেরে বিজয় মালিয়া ঋণ মেটাতে পারেননি বলে সওয়াল করলেন নিতিন গডকড়ী। তাঁর কথায়,''গত ৪০ বছর ধরে ঋণের সুদ সমেত মিটিয়ে আসছে বিজয় মালিয়া। এরপর বিমানশিল্পে লগ্নি করেছিলেন। তাতে সমস্যা হওয়ায় চোর হয়ে গেল মালিয়া? পঞ্চাশ বছর ধরে সুদ যখন মিটিয়েছিল তখন ভাল ছিল, একটা ঋণ না মেটানোয় খেলাপকারী হয়ে গেল? এই ধরনের মানসিকতা অনুচিত''। গডকড়ী আরও বলেন, ''যে কোনও ব্যবসাই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু বিশ্ব মন্দা বা অভ্যন্তরীণ বিষয় বা শিল্পের সমস্যার জন্য কোনও ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়লে তাঁকে সহযোগিতা করা দরকার''। নিতিনের মতে, ''আজকাল আমারা সকলকেই চোর ভাবি। একটা ভুল সকলেরই হয়''।        


তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হবে, তা অনুমান করেই গডকড়ী মনে করিয়ে দেন, মালিয়ার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তবে প্রতারণা করে থাকলে আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না মালিয়া। একইসঙ্গে গডকড়ী আরও বলেন, শিল্প সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক ধার না দিলে কর্মসংস্থান হবে না, বাধাপ্রাপ্ত হবে আর্থিকবৃদ্ধি।


সোমবার বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণে মঞ্জুরি দিয়েছে ব্রিটেনের আদালত। ব্রিটেনের আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় সিবিআই। তবে এই রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ থাকছে মালিয়ার। এরপরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন,''নতুন ভারতে স্বাগত। দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী লড়াই করছেন। প্রতিটি সত্ নাগরিকের পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয় মালিয়ার প্রত্যপর্ণ তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে তদন্তকারী সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী''। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব যখন মালিয়াকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া, ঠিক সেই সময়ই উল্টো সুর গডকড়ীর। 


আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে অভিশপ্ত ৪,৩৩৭টি ভোট সরিয়ে দিল বিজেপিকে