নিজস্ব প্রতিবেদন: লন্ডনের আদালত বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। আর তার পরই তাঁর সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মী কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে। সরাসরি বললেন, ''তাঁর (বিজয় মালিয়া) উচিত শিক্ষাই হওয়া উচিত।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই মহিলা, যাঁর নাম নীতু শুক্লা। তিনি বিজয় মালিয়ার কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্মী ছিলেন। সোমবার তিনি সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, বিজয় মালিয়া যে শুধু ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেননি, তা নয়। ওই লিকার ব্যারনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। অর্থ পাচার ও সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর দাবি, এগুলো নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত।



বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। ঋণ না মিটিয়েই তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রথমে জার্মানি ও পরে তিনি লন্ডনে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।


তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে ইডি বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করেছে। তারই মধ্যে লন্ডনের আদালতে বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয় ভারতের তরফে।



সোমবার সেই মামলার রায় বেরিয়েছে। লন্ডনের আদালত মালিয়াকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। তার পরই নীতু এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।


একই সঙ্গে ভারতের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও ভাবা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার খামখেয়ালিপনার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় কর্মীদের। এই বিষয়ে আইন আনা উচিত বলেই মত প্রকাশ করেছেন নীতু শুক্লা।