তুষার চিতাকে উদ্ধার করে বনাঞ্চলে ছাড়লেন স্পিতি উপত্যকার বাসিন্দারা
সংবাদ সংস্থা ANI প্রকাশিত সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি তুষার চিতাকে চারণভূমিতে মুক্ত করছেন বাসিন্দারা। বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণী বসবাস করে হিমালয়ের বরফঢাকা চূড়ার আসেপাশে। জানা গিয়েছে, বসতির মধ্যে আটকে পড়েছিল প্রাণীটি। কোনও ক্রমে তাকে খাঁচাবন্দি করেন স্থানীয়রা।
ওয়েব ডেস্ক: ভূপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ১০,০০০ ফুটের বেশি। তিব্বত সীমান্ত লাগোয়া স্পিতি উপত্যকাকে বলা হয় দেশের প্রত্যন্ততম এলাকার একটি। প্রকৃতির সঙ্গে সহবাসের অনন্য নজির গড়লেন সেখানকার বাসিন্দারাই। বসতিতে আটকে পড়া একটি তুষার চিতাকে নিরাপদে ছাড়লেন তার চারণভূমিতে।
হিমালয়ের আকাশছোঁয়া শৃঙ্গের আড়ালে থাকা লাহৌল - স্পিতি উপত্যকায় পৌঁছয় না বর্ষার মেঘ। হিমাচল প্রদেশের তিব্বত সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা থেকেই বস্তুত শুরু হয় পামির মালভূমি। বিরল জনবসতিপূর্ণ এই উপত্যকায় প্রকৃতির একচ্ছত্র অধিবাস। মূলত বৌদ্ধধর্মী মানুষের বাস সেখানে। শীতকালে লাগাতার তুষারপাতে বেশ খানিকটা সময় গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে এই এলাকা। সভ্যতার মূলধারা থেকে অনেক দূরে অন্য এক পৃথিবী স্পিতি নদীর দু'পার। এমন দুর্গম এলাকা থেকেই এল মন ভাল করা ছবি।
ইউটিউবের সদর দফতরে বন্দুকধারী মহিলার হামলা, মারাত্মক জখম ৪
সংবাদ সংস্থা ANI প্রকাশিত সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি তুষার চিতাকে চারণভূমিতে মুক্ত করছেন বাসিন্দারা। বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণী বসবাস করে হিমালয়ের বরফঢাকা চূড়ার আসেপাশে। জানা গিয়েছে, বসতির মধ্যে আটকে পড়েছিল প্রাণীটি। কোনও ক্রমে তাকে খাঁচাবন্দি করেন স্থানীয়রা। তার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় অভয়ারণ্যে।
খেয়াল করলে দেখা যায়, যে খাঁচায় তুষার চিতাটিকে বন্দি করা হয়েছে তা তৈরি করা হয়েছে দু'টি চারা গাছের বেড়া দিয়ে। পথের ধারে এমন বেড়া অহরহ চোখে পড়ে। তা দিয়েই খাঁচা বানিয়ে ফেলেছেন স্থানীয়রা। কথায় বলে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।