জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভার স্পিকার নির্বাচনে কোনও ঐক্যমত হয়নি সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে। বিরোধীরা চেয়েছিল ডেপুটি স্পিকারের পদটি তাদের দেওয়া হোক। এনিয়ে তাদের অবস্থা স্পষ্ট করেনি সরকারপক্ষ। ফলে বিরোধীরা ওম বিড়লার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে আটবারের সাংসদ কে সুরেশকে। ফলে এবার স্পিকার নির্বচনে ভোটাভুটি হচ্ছে আজ। এর আগে ১৯৫২, ১৯৬৭ ও ১৯৭৬ সালে লোকসভা স্পিকার নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের ৪৮ বছর ফের ভোট হচ্ছে সকাল এগারোটায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্পিকার নির্বাচন নিয়ে বেশকিছু তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দক্ষিণের অধিকাংশ জেলায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা, বইতে পারে দমকা হাওয়া


স্পিকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে গতবারের লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা ও কেরালার ৮ বারের সাংসদ কে সুরেশের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ঐক্যমতের কথা বললেও তা সেষপর্যন্ত হয়নি। ইন্ডিয়া জোটের দাবি ছিল ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের দেওয়া হোক। তাতে রাজী হয়নি সরকার পক্ষ।


সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন স্পিকার। এখনওপর্যন্ত ৫ বিরোধী ও ২ নির্দল সাংসদ শপথ নেননি। তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না বলেই শোনা যাচ্ছে।


সংসদের সরকার পক্ষ ও বিরোধীদের যা সংখ্য়া তাতে সহজেই নির্বাচিত হবেন ওম বিড়লা। কারণ সংসদের এনডিএর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের সদস্য সংখ্যা ২৩২।


বিরোধীদের আশা ছিল ডেপুটি স্পিকারের পোস্টটি তাদের দেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রোটেম স্পিকারের পদটিও তাদের দেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত তা দেওয়া হয়েছে বিজেপি ভাত্রুহরি মাহাতাবকে।  


মঙ্গলবার ওম বিড়লার মনোনয়ন নিয়ে ঐক্যমত গঠন করার চেষ্টা করছিল সরকারপক্ষ। তখন তার এটাও স্পষ্ট করে দেন ডেপুটি স্পিকারের বিষয়টি তারা ভাবছেন না।


ওম বিড়লাকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, রাজনাথ সিং ফোন করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তবে ডেপুটি স্পিকারের পদটি আমরা চেয়েছিলাম। রাজনাথ বলেছিলেন পরে ফোন করবেন। কিন্তু তা তিনি করেননি।


কে সুরেশের প্রার্থীপদ নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি কোনও আলোচনা না করেই সুরেশের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাহুল গান্ধী। সম্ভবত বরফ গলবে।


দেশের ইতিহাসে এর আগে তিনবার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ভোট হয়েছে। প্রথমবার ১৯৫২ সালে, তারপর ১৯৬৭ সালে এবং তৃতীয়বার ১৯৭৬ সালে। তারপর এবার ৪৮ বছর বাদে ফের স্পিকার পদে ভোটাভুটি হবে। এই অবস্থার জন্য দায়ী সরকার পক্ষের অনড় অবস্থান। রাজনাথ সিং যোগযোগ করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, টি আর বালুর সঙ্গে। তবে কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল রাজনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দেন বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকার পদটি ছাড়তে হবে। রাজনাথ রাজী হননি। শেষপর্যন্ত কে সুরেশের মনোনয়ন জমা দেয় কংগ্রেস।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)