শ্রীনগর: আপাতত শান্ত জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে লাগাতার গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের কারণে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও হুঁশিয়ারি, ফের হামলা হলে তখনও যোগ্য জবাব দেবে দিল্লি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে গুলি চালনার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক হামলার যোগ্য জবাব দিয়ে ইসলামাবাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র।


জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পাক সেনার লাগাতার গুলিবর্ষণ ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করারও আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাক সেনাবাহিনীর বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনকে যে দিল্লি মুখ বুঝে সহ্য করবে না, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রকও।


বৃহস্পতিবার রাতের থেকে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে হামলার ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তারপরই ইসলামাবাদের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় যে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রই একে ওপরের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকেই সমান ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রকাশিত বিবৃতির কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ইসলামাবাদ দ্বিচারিতা করছে।


জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভারত শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র। তাই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অশান্তি বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতের পর থেকে আপাতত শান্ত জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। কিন্তু কতদিন। প্রশ্ন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির আতঙ্কিত বাসিন্দাদের।