Watch: ভয়ংকর ভূমিধসে বন্ধ পথঘাট, আটকে পড়েছেন তীর্থযাত্রী...
Landslide In Uttarakhand: আটকে-পড়া তীর্থযাত্রীরা আদিকৈলাসের পথে বেরিয়েছিলেন। আগামী কাল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি রয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারী বৃষ্টির জেরে দারুণ ভূমিধসের কবলে পড়ল উত্তরাখণ্ড। বড় মাপের এই ধসের জেরে তাওয়াঘাট অঞ্চলে অন্তত ৪০ জন তীর্থযাত্রী আটকে পড়েছেন বলে খবর। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক। ঘটনাটি ঘটেছে নাজাঙ্গ তাম্বা গ্রামের কাছাকাছি। আদিকৈলাস তীর্থযাত্রা খুবই মর্যাদাপূর্ণ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। আটকে-পড়া তীর্থযাত্রীরা এই আদিকৈলাসের পথেই বেরিয়েছিলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবশ্য উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এই ধসের দরুন সন্নিহিত সড়কপথগুলিও সাময়িক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঋষীকেশ-গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পথের ওপর পড়ে রয়েছে মাটি-পাথর-বোল্ডার। উত্তরকাশীর হেলগুগড় ও স্বরিগড় এবং দেরাদুনের বিকাশনগর-কলসি-বারকোট ন্যাশনাল হাইওয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Gangotri Glacier: এখনই পিছিয়েছে ১৭০০ মিটার! এভাবে চললে কতদিন টিকবে গঙ্গোত্রী হিমবাহ?
গোটা বর্ষা জুড়েই পার্বত্যপথে নানা সময়ে ধস নামে। ব্যাহত হয় চলাচল। বন্ধ হয়ে যায় গাড়িঘোড়া। এবারেও বারংবার এ ঘটনা ঘটেছে। ধস নেমেছে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং অঞ্চলে। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল।
সিমলা বা উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য অঞ্চলেও অতি বৃষ্টির জেরে নেমেছে ধস, কখনও এসেছে হড়পা বা মেঘভাঙা বৃষ্টি ঘটেছে। এসবের জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। মানুষ মারা গিয়েছেন। জনপদ ধ্বংস হয়েছে। গোটা বর্ষাজুড়েই পাহাড়িপথের এই অবস্থা।
কেন এত ধস?
আসলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ই এর কারণ। আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে পরিবেশ প্রকৃতির যে ক্ষতি হচ্ছে তার জন্য। যেমন, সম্প্রতি গঙ্গোত্রী হিমবাহ দ্রুত গলছে, এমন একটি তথ্য নতুন করে সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়-পর্বে গঙ্গোত্রী হিমবাহ প্রতি বছর গড়ে ২০ মিটার করে গলেছে। যা ভয়ংকর এক ঘটনা! কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আরও ভয়ংকর ব্যাপার আছে। ২০ মিটারটা ৩৮ মিটারে এসে পৌঁছেছে। তবে সব পক্ষের এ সংক্রান্ত স্টাডি পর্যালোচনা করে বলা হচ্ছে, গত ১ দশকে গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার ৩০০ মিটার পিছিয়ে গিয়েছে। সকলেই জানেন, এই গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকেই গঙ্গার উৎপত্তি। দেরাদুনের 'ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি' জানাচ্ছে, ১৯৩৫ সাল থেকে চলতি ২০২২ সাল পর্যন্ত গঙ্গোত্রী হিমবাহটি ১৭০০ মিটার পিছিয়ে গিয়েছে!