নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বইসহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায় রবিবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। যার ফলে বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল জমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে গত ২ দিনে মুম্বইয়ে বৃষ্টি হয়েছে ৫৪০ মিলিমিটার। যার ফলে ইতিমধ্যে শহরের একাধিক রাস্তায় জল জমেছে। থমকে গিয়েছে গাড়ির গতি। রবিবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন জায়গায় এখনো পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাগাতার বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে মুম্বইয়ের লাইফ লাইন লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে সোমবার স্কুল, কলেজ, অফিস - আদালতে পৌঁছতে নাকাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। জল জমায় হারবার লাইনে সিএসটি থেকে ওয়াসি রোড পর্যন্ত ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়েছে। সেন্ট্রাল লাইনে সিএসটি থেকে থানে পর্যন্ত ট্রেন চলেছে ধীরে। ওদিকে ওয়েস্ট্রান লাইনে বোরিবেলি থেকে বসই পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ। মুম্বই সেন্ট্রাল লাইনেও সিএসটি থেকে থানে পর্যন্ত প্রভাবিত হয়েছে ট্রেন চলাচল। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় শম্বুকগতিতে চলছে গাড়ি। যেখানে সেখানে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে গাড়ি। 


নাগাড়ে বৃষ্টিতে থই থই মুম্বই, রাতে পাঁচিল ধসে মৃত ২২, ছুটি ঘোষণা করল সরকার


মুম্বই মহারাজা ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতেও জল জমেছে। যার ফলে সোমবার গভীর রাতে অবতরণের সময় স্পাইসজেটের উড়ান ৬২৩৭ রানওয়ে থেকে পিছলে যায়। জয়পুর থেকে মুম্বই পৌঁছেছিল বিমানটি। এই ঘটনার জেরে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ৫৪টি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেউ আহত হননি। যাত্রী ও বিমান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। 


 



ওদিকে সোমবার রাতে মুম্বই ও লাগোয়া এলাকায় নাগাড়ে বৃষ্টিতে পাঁচিল ধসে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালাড, পুনে ও কল্যাণে দুর্ঘটনাগুলি ঘটে। পরিস্তিতি মোকাবিলায় আগামী ২ দিন ছুটি ঘোষণা করেছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সরকার। সঙ্গে খুব দরকার ছাড়া মুম্বইবাসীকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।