WB Panchayat Election 2023 | BJP Fact Finding Team Report: পঞ্চায়েত হিংসায় CBI-NIA তদন্ত চায় বিজেপি
রিপোর্টে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বরাবরই হিংসা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রাণহানি একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তাঁর TMC দল এবং তাদের জোটসঙ্গিরা অপরাধী গুন্ডা এবং পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে মিলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে।
মৌপিয়া নন্দী: জমা পড়লো বিজেপি-র বিজেপি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা। মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। এই নিয়ে সংসদের ভেতরে বাইরে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী জোট। পাশপাশি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছে তাঁরা। এই অবস্থায় বিরোধী জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল তৃণমূলের বিরদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। প্রথম থেকেই এই বিষয়ে সরব ছিল বিজেপি। এবার অনাস্থা প্রস্তাবের দিনেই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে সুর চড়িয়েছে তাঁরা।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বরাবরই হিংসা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রাণহানি একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তাঁর TMC দল এবং তাদের জোটসঙ্গিরা অপরাধী গুন্ডা এবং পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে মিলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে।
সেখানে আরও লেখা হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্ট বাধ্য হয়েছেন এই সম্পর্কে মন্তব্য করতে। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল এখন সন্ত্রাসকবলিত। এবং প্রাথমিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় গুন্ডারা এই কাজ করছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে যে রাজ্যের পুলিস এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
জমা পরা রিপোর্টে জানানো হয়েছে যেদিন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করা হয়, সেদিন প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয় বিজেপি-র সম্ভাব্য প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: No Confidence Motion: বিরোধীরা অনাস্থা আনবে, ৫ বছর আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন মোদী, ভাইরাল ভিডিয়ো
পাশপাশি এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের পরিদর্শনের সময় রাজ্যের অনেক মহিলা তাদের দেখা করেছিলেন এবং তৃণমূলের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর আবেদন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে সেই দলকে ওই মহিলারা বলেছেন যে তৃণমূল কর্মীরা তাঁদেরকে হুমকি দিয়েছেন, ‘নতুন খেলা হবে’।
পাশপাশি স্পর্শকাতর বুথ সম্পর্কেও এই রিপর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই দলের পরিদর্শনের সময় তাঁরা জেনেছেন যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি করা হয়নি এবং আধাসামরিক বাহিনী সেই সব বুথে মোতায়েন করাও হয়নি।
আরও পড়ুন: Air India Rebranding: বিদায় মহারাজা! আমূল বদল এয়ার ইন্ডিয়ায়
এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে যে শাসকদলের হাতে খুন হয়েছে তাদের বহু কর্মী। সেই কথা রিপোর্টে উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে নির্বাচনী ভায়োলেন্সে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে।
এই রিপোর্টে বিজেপি-র তরফে জোড়াল তদন্তের দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি পরামর্শ দিচ্ছে যে সব মামলা মাননীয় কলকাতা হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত করা উচিত। এছাড়াও, সমস্ত বোমা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত’।
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টের প্রশাসনিকভাবে খুব বেশি প্রভাব না থাকলেও রাজনৈতিক আঙিনায় এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ঠিক যে সময়ে বিরোধীরা বিজেপিকে সংসদের ভেতরে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে ঠিক সেই সময়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসার মধ্যে, মণিপুর ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।