নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। যোগ দিয়েই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ-কে আরও এক বার এক হাত নিলেন তিনি। বলেন, “গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে।” আরও এক ধাপ এগিয়ে শত্রুঘ্নের তোপ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর চলছে দু’জন আর্মি এবং এক জনের শক্তি প্রদশর্নে। অন্যান্য মন্ত্রীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। মোদী এবং শাহকে কটাক্ষ করেই শত্রুঘ্ন এমন মন্তব্য করেছেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


৭২ বছর বয়সী অভিনেতা তথা এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বরাবরই বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। দলে থেকে দলের সমালোচনা করে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। ২০১৪ সালে পটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপির টিকিটে সাংসদ হন শত্রুঘ্ন। এর আগে রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন বিজেপির টিকিটেই। পরবর্তীকালে, নোটবন্দি, জিএসটি-সহ মোদী সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তে কোঠর সমালনোচনা করতে দেখা যায় বিহারিবাবুকে।


আরও পড়ুন- ২০১৪ সালে জিতে আসা এক তৃতীয়াংশ সাংসদকেই এবার টিকিট দিচ্ছে না বিজেপি


এ বারের লোকসভা নির্বাচনে শত্রুঘ্নকে টিকিট না দিয়ে পটনা সাহিব কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। এর পরই জানা যায় ওই কেন্দ্রেই তিনি নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন। তবে, লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে জল্পনা মোড় নেয়। আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট রয়েছে বিহারে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। শেষমেশ চলতি সপ্তাহে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে করে জানিয়ে দেন কংগ্রেসের টিকিটে পটনা সাহিব থেকে লড়বেন শত্রুঘ্ন।