নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম বার বাঁধা এলেও শেষমেষ সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান-২-এর। যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিটি ভারতবাসী সেইভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে। চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের উপলব্ধির কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার 'মন কি বাত'-এ চন্দ্রযান-২-এর বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যেভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে রকেটের গোলযোগ সারিয়ে উৎক্ষেপণ সফল করলেন, তার প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, "যেভাবে রেকর্ড সময়ের মধ্যে যান্ত্রিক সমস্যাগুলির সমাধান করে বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করলেন, তার সাক্ষী আজ গোটা বিশ্ব। আমাদের এ বিষয়ে গর্ব করা উচিত"। 



 


বিজ্ঞানীদের এই অদম্য জেদ ও নিষ্ঠা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, "জীবনে চলার পথে কখনও কখনও সাময়িক বাঁধা আসে। কিন্তু, আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, যে সেই বাঁধা কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা আমাদের নিজেদের মধ্যেই আছে।" তিনি আরও বলেন, "চাঁদের বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সাহায্য করবে চন্দ্রযান-২"। 


আরও পড়ুন : বড়সড় জঙ্গি হামলার অশনি সংকেত! দিল্লিতে ফিরেই জরুরি বৈঠকে অজিত ডোভাল


প্রথমে ১৫ জুলাই উৎক্ষেপণের কথা ছিল চন্দ্রযান-২-এর। উৎক্ষেপণের ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরে রকেটে। রকেটের একটি ভাল্ব থেকে লিক হচ্ছিল হিলিয়াম গ্যাস। ঝুঁকি নেননি বিজ্ঞানীরা। ওই দিন উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। এর পর যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয় যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ। ওভারটাইম কাজ করে ত্রুটি সারিয়ে তোলেন ইসরোর বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। 


২২ জুলাই দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে চন্দ্রযান-২ পাড়ি দেয় চাঁদের পথে। ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানকে নিয়ে উড়ে যায় বাহুবলী। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ রকেটে চড়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান। এর মধ্যে দুই বার সফলভাবে কক্ষপথের পরিধিও বাড়িয়েছে চন্দ্রযান-২। এর পরে আবার ২৯ জুলাই জ্বলে উঠবে চন্দ্রযান-২-এর ইঞ্জিন। ভারতীয় সময়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টে ৩০ মিনিটের মধ্যে হবে কক্ষপথের পরিবর্তন।