নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির শীর্ষনেতাদের নির্দেশেই আমরা কাঠুয়া ইস্যুতে হিন্দু একতা মঞ্চের মিছিলে হেঁটেছিলাম। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আসল দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে মিছিল করেছে হিন্দু একতা মঞ্চ। সেই দাবিতে সুর মিলিয়ে পথে নেমে জম্মু ও কশ্মীর সরকারের কোপের মুখে পড়তে হয় বিজেপির দুই মন্ত্রী চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা ও লাল সিংকে। শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রে চাপে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে তাঁদের ইস্তফা দিতে হয়। সেই সঙ্গে সেদিনই তাঁরা নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজ্য সভাপতির হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে ৮ বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির এই ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস কাঠুয়াকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেছে। বাকি একজন নাবালক হওয়ার তার বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।


আরও পড়ুন- কাঠুয়ার ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীর সরকার থেকে ইস্তফা বিজেপির দুই মন্ত্রীর


এদিকে, ধৃতদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হিন্দু একতা মঞ্চের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। সেই মিছিলে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির দুই মন্ত্রী। ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এক নেতাও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন পিডিপি ও তার সহযোগী দল বিজেপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বারবার এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেন। এরপরই কাঠুয়া ও উন্নাওকাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, দেশে এই ধরনের ঘটনায় দোষীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না।


প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যমন্ত্রিসভা থেকে বিজেপির দুই মন্ত্রী চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা ও লাল সিং ইস্তফা দেন। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে যান চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা। সেখানে গিয়েই কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, বিজেপির কথাতেই সেদিন মিছিলে হেঁটেছিলাম। এখন পরিস্থিতি বদলে যাওয়াতেই আমাদের ওপর কোপ পড়ল। এক কথায় আমাদের 'বলির পাঁঠা' করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- অপরাধীদের রেয়াত নয়, দেশকে ভরসা দিলেন মোদী