Vice President Of India Election 2022: নিয়মরক্ষার নির্বাচনে জয়! ভারতের নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়
দলের সিদ্ধান্ত মেনে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন তৃণমূল সাংসদরা। অধিকারী বাড়ির ২ সদস্য কি উল্টো পথে হাঁটলেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়মরক্ষা নির্বাচন। বিরোধী প্রার্থীর জয়ের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন তৃণমূল সাংসদরা। ভারতের নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে ৩৪৬ ভোটে হারিয়ে দিলেন তিনি।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের সংবিধানিক প্রধানের পদে থাকাকালীন নবান্নের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন একাধিকবার। এমনকী, বাদ যায়নি বিতর্ক!
উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তখন দোরগোড়ায়। ১৬ জুলাই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন জগদীপ ধনখড়। সেদিনই এনডিএ-র উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিরোধীদের প্রার্থী? মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার বাড়িতে বৈঠক বসে বিরোধী দলগুলি। সেই বৈঠকেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভার নাম চূড়ান্ত হয়।
ঘড়িতে তখন ১০টা। এদিন সকালে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কারা ভোট দিলেন? শুধুমাত্র সংসদের উভয় কক্ষের সাংসদরা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভার সদস্য বা বিধায়কদের ভোটাধিকার নেই। ফলাফল? লোকসভায় ৫৪৫ জন সাংসদ, আর রাজ্যসভায় ২৪৫ জন। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরিয়া কোলাজে ভোটের সংখ্যা ৭৯০। তারমধ্যে ৫২৮টি ভোট পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আর বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ১৮২। বাতিল হয়েছে ১৫টি ভোট।
এদিকে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের পর কালীঘাটে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিরোধীদের উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু দলের নির্দেশ মানলেন না দুই সাংসদ!
আরও পড়ুন: Black Protest: দেশে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, কালো জামা পরে বেনজির বিক্ষোভ কংগ্রেসের
সূত্রের খবর, এদিন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্ভবত ভোট দিয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দু'জনকেই চিঠি দিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কেন ভোট দিলেন? শিশির-দিব্যেন্দুর সাংসদ পদ খারিজ দাবি ইতিমধ্যেই জানিয়ে লোকসভা স্পিকার চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দুর অধিকারীর বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে এবার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।