ওয়েব ডেস্ক: 'তিন তালাক' প্রথা 'অসাংবিধানিক'। ৩:২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আজ এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। 'তিন তালাক' প্রথা আদৌ 'ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ' কি না সেই বিষয়টি বিচার করে আজ এই রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ৬ দিনের ম্যারাথন শুনানির পর গত ১৮ই মে রায় ঘোষণা মুলতুবি রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজকের দিনটি পূর্বনির্ধারিত হয়েছিল রায় ঘোষণার জন্য। কিন্তু আজ এই হাই প্রোফাইল মামলার রায় ঘোষণার দিন এজলাসে ঠিক কী ঘটল? কেমন ছিল ঘটনা পরম্পরা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'তিন তালাক' প্রথা সংক্রান্ত এই মামলার বিচারের দায়িত্বে থাকা ৫ বিচারপতি বস্তুত ৫টি পৃথক ধর্মাবলম্বী। এঁরা হলেন- প্রধান বিচারপতি জেএস কেহর (শিখ), বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ (খ্রিষ্টান), বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যান (পার্শি), বিচারপতি ইউইউ ললিত (হিন্দু) এবং বিচারপতি আব্দুল নাজির (ইসলাম)।


প্রধান বিচারপতি কেহর প্রথমেই জানান, "তালাক-ই-ইদ্দাত সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ এবং ২৫ নং অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে না।"


প্রধান বিচারপতি কেহর এবং বিচারপতি আব্দুল নাজিরের এই মতামতের সঙ্গে ভিন্নমত হয়ে বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যান, বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ জানিয়ে দেন যে 'তিন তালাক' প্রথা 'অসাংবিধানিক'।


এরপরই, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতি জানান, তালাক-ই-ইদ্দাত সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রকে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। সব দলকে রাজনৈতিক স্বার্থ সরিয়ে রেখে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি কেহর।


উল্লেখ্য, এর আগে আদালতকে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি জানিয়েছিলেন, "যদি সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়কে নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন তৈরি করবে"। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, তালাক প্রথা মুসলিম মহিলাদের সাম্যের অধিকারকে সমর্থন করে না। আজ শীর্ষ আদালতের রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, এই রায় মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে মোদীর এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে সরকার এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।