ওয়েব ডেস্ক : আমেরিকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মুম্বই আদালতে চলছে ২৬/১১ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। নিজের বয়ানে আজও বিস্ফোরক ডেভিড হেডলি। ইশরত জাহান আত্মঘাতী লস্কর জঙ্গি ছিল বলে জানিয়েছে সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৪-এ ১৫ই জুন পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ইশরতের। তখন থেকেই শুরু হয় বিতর্ক, জল্পনা। আজ সেই বিতর্কে যোগ হল নতুন মাত্রা।


এখন প্রশ্ন, কে এই ইশরাত জাহান?


১) হেডলির বয়ান অনুয়ায়ী ইশরাত একজন ফিঁদায়ে। সে কাজ করত মুজাম্মিলের জন্য। ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য লস্কর নিয়োগ করেছিল মুজাম্মিলকে।


 


২) ২০০৪-এ হেডলির সঙ্গে দেখা করে লখভি। এবং বলে যে, মুজাম্মিলের সঙ্গে তাকে কাজ করতে হবে। মুজাম্মিল ইশরত জাহান নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিকে নিয়োগ করেছে।


 


৩) সে বছর ১৫ই জুন পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন ব্যক্তির সঙ্গে মৃত্যু হয় ইশরতেরও। তখন ইশরাতের বয়স ১৯। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল বলে অভিযোগ জানায় আমেদাবাদ পুলিস অপরাধ দমন শাখা।


৪) পুলিস আরও জানায়, নিহতদের প্রত্যেকেরই লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা গুজরাটের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ছক কষছিল।


৫) কিন্তু তদন্তের পর ২০০৯-এ আমেদাবাদ মেট্রোপলিটান আদালত খারিজ করে দেয় সেই অভিযোগ। জানায়, সেটি একটি ভুয়ো এনকাউন্টার ছিল। গুজরাট সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায়।


৬) ২০১৩-তে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান আসিফ ইব্রাহিম গুজরাট পুলিশের দাবিকেই মান্যতা দেয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানান যে, ইশরাত লস্করের সহযোগী ছিল। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে খুনের পরিকল্পনাও করেছিল সে। আর সেই সব তথ্যপ্রমাণ IB-র হাতে আছে।


৭) যদিও IB ও গুজরাট পুলিসের দাবিকে কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ ইশরতের পরিবার। সেইসঙ্গে বেশকিছু রাজনীতিবিদদেরও দাবি, ইশরাত একজন সাধারণ মেয়ে ছিল। পুলিসের সঙ্গে এনকাউন্টার ঘটনাটি সাজানো। এটি পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন।


৮) তবে লস্করের মদতপুষ্ট লাহোরের একটি সংবাদপত্র ইশরাতকে LeT জঙ্গি বলেই দাবি করেছিল। কিন্তু, ২০০৭-এ সেই দাবি থেকে পিছু হটে লস্কর। জানায়, ওটা জনৈক সংবাদিকের ভুল।


৯) পরিবারের সাত সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ইশরাত। মুম্বইয়ের গুরু নানক খালসা কলেজে বিএসসি পাঠক্রমে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল সে।


১০) আদতে বিহারের বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের মুমব্রায় মুসলিম অধ্যুষিত রশিদ কম্পাউন্ডে থাকত ইশরাত।


১১) বাবার মৃত্যুর পর পরিবারে অর্থের যোগান দিতে প্রাইভেট টিউশন ও সেলাইয়ের কাজ করত সে।