নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাট ভোটের হাওয়া কার পালে? খোদ মোদীর গড়েও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হন্যে বিজেপি। শুক্রবার হতে চলেছে প্রথম দফার ভোট। সেদিন মোট ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তবে পশ্চিম এবং দক্ষিণ গুজরাটের সবচেয়ে  উল্লেখযোগ্য দুই জেলার দিকে চোখ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। সুরাট এবং রাজকোট। কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লাল ফৌজের ওপর নজরাদারিতে অত্যাধুনিক ড্রোন বানালো ভারত


রাজকোটে ৮টি আসন। গতবার বিধানসভায়  বিজেপি ও কংগ্রেস ৪টি করে আসন পেয়েছে এখান থেকে। এবার দুই দলই দু'পক্ষে ৪ জন করে পতিদার প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। অন্য দিকে পশ্চিম রাজকোট বিধানসভা বিজেপির কাছে এখন সম্মান রক্ষার লড়াই। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন বিজয় রূপানি। একদা এই আসন থেকেই লড়তেন নরেন্দ্র মোদীও। কেশুভাই প্যাটেলের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে এলে নরেন্দ্র মোদীকে বসানো হয় কুর্সিতে। ২০০২ সালে উপনির্বাচনে লড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাকা করেন মোদী। ফলে, বিজেপির কাছে এই আসনের গুরুত্ব অসীম। আর ঠিক সে জন্যই বিজয়-কে ঠেকাতে আড়াই প্যাঁচের দাবার চাল চেলেছে কংগ্রেসেও। বিজয়ের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে বিধায়ক ইন্দ্রনীল রাজগুরুকে দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- ''ইন্দিরার পর মমতা,'' ২৪ ঘণ্টাকে বললেন হার্দিক পটেল


অন্যদিকে সুরাটের ১৬টি আসনের মধ্যে গতবার ১৫টিই পেয়েছিল বিজেপি। একটি মাত্র কংগ্রেস। এবার জিএসটি, নোটবন্দিকে ইস্যু করে পতিদার আন্দোলনকে জোরদার করেছে প্যাটেল সম্প্রদায়ের মুখ হার্দিক প্যাটেল। মনে করা হচ্ছে, সুরাটে ৭টি বিধানসভায় পতিদার আন্দোলনের প্রভাবে কোণঠাসা হতে পারে বিজেপি।


প্রথম দফা নির্বাচনে এই দুই জেলা নিয়ে চলছে বিজেপির ওয়াররুমে ব্যস্ততা। বিজেপি ভালভাবেই জানে, গান্ধীনগরের মসনদে বসার জন্য এই জেলার বিধানসভা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।