নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন।  ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত ৪,০৯২। ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু কেন? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা এতটা বেহাল কেন? সমস্যা কোথায়? উত্তর দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, হঠাৎ করে জমায়েত বেড়ে যাওয়াই ভারতে করোনার সংক্রমণের অন্য়তম কারণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  পুলিশ কেমন কাজ করছে? পরখ করতে ছদ্মবেশে থানায় খোদ কমিশনার


তিনি জানান, ভারতে করোনা ভাইরাসের বি.১.৬১৭ প্রজাতি সক্রিয়। গত অক্টোবরে প্রথম এই প্রজাতির হদিশ মেলে। আগেই আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো কিছু দেশ সেই প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে ঘোষণা করেছে।  ব্য়তিক্রম বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা হু (WHO)। তিনি আরও বলেন, "কোভিড-১৯ ভাইরাসের নয়া প্রজাতি সম্পর্কে ভারতীয়দের মধ্য়ে যে সচেতনতার অভাব রয়েছে, তা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।" তাঁর মতে, একটা সময়ের পর ভারতীয়দের মধ্য়ে মাস্ক ব্য়বহারের প্রবণতা কমে গিয়েছিল। জমায়েতের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। ফলে প্রথমে সমাজের নীচের স্তরে সংক্রমণ ছড়ায়। এরপর তা উপরের দিকে ওঠে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করেছেন এই ভারতীয় বিজ্ঞানী।   


আরও পড়ুন: কোভিড মোকাবিলায় গ্রামীণ এলাকার জন্য ৮,৯২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের


শুধু তাই নয়, সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে টিকাকরণের ধীর গতিকেও দায়ি করেছেন বিজ্ঞানী সৌম্য় স্বামীনাথন। তিনি বলেন, "বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা প্রস্তুতকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন৷ দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকা দিতে বহু মাস সময় লাগবে৷ " এভাবে চললে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী৷