নিজস্ব প্রতিবেদন: হিমাচলপ্রদেশে দুনিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করতে গিয়ে পূর্ববর্তি সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। বললেন, সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ও এলাকার উন্নয়ণও জড়িয়ে থাকে। এতদিন তা হয়নি। বর্তমান সরকার তা করে দেখিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শিয়ালদা স্টেশনের জনবহুল চত্বরে কী করে ঘটল 'এঘটনা'! প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিসও


শনিবার হিমাচল প্রদেশের  রোটাংয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই টানেলটি মানালির সোলাং উপত্যকাকে ৯.০২ কিলোমিটার টানেলের মাধ্যমে জুড়ে দেবে লেহকে। এতে দূরত্ব কমবে ৪৬ কিলোমিটার। দু-লেনের টানেলে গাড়ি ছুটতে পারবে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে।



এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ী এই টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত মাত্র ১৩০০ মিটার টানেল খোঁড়ার কাজ হয়েছিল। ২০১৪ সালের পর কাজ অস্বাভাবিক গতিতে এগোতে থাকে।  মাত্র ৬ বছরে আমরা ২৬ বছরের কাজ করে ফেলেছি।


কংগ্রেসের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটি বন্ধ ছিল ৪০-৫০ বছর। কেন এতদিন তা বন্ধ রাখা হয়েছিল তা জানানোর দায় পূর্ববর্তি সরকারের। যোগাযোগের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ণ জড়িয়ে থাকে। আর সীমান্ত এলাকায় যোগযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নও। সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়ণ বর্তমান সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


আরও পড়ুন-'বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কিট', পিপিই ছাড়াই করোনা রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া-আসা করছে অ্যাম্বুলেন্স চালক...


প্রসঙ্গত, যে সময়ে অটল টানেল খুলে দেওয়া হল সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পূর্ব লাদাখের এলএসিতে ভারত-চিন উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এমন একটা সময় ছিল যখন নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্পের কাজও দেরী করিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল দেশের নিরাপত্তা। পূর্ববর্তি সরকারের সময়ে দেশের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হতো না।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার অটল টানেল তৈরি করার ক্ষেত্রে গড়মসি করছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের গতিতে যদি কাজ চলতো তাহলে কাজ শেষ করতে ২০৪০ সাল হয়ে যেতে। যে কাজ করতে ২৬ বছর লাগার কথা তা আমরা মাত্রা ৬ বছরে শেষ করেছি।