নিজস্ব প্রতিনিধি- শরীরের বাকি অনেক রোগ বিমার আওতায় পড়লেও মনের অসুখ পড়ে না কেন! মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক মামলার পর প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে কেন্দ্র ও ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া অথবা আইআরডিএ-কে  নোটিশ দিল ভারতের শীর্ষ আদালত। কুমার বনসল নামের এক আইনজীবী মনের অসুখ ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। বিচারপতি আর এস নরিম্যান ও নবীন সিনহা এবং বি আর গাবাইয়ের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারা লঙ্ঘন করেছে দেশের বহু বিমা সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিচারপতিদের এই বেঞ্চ সওয়াল করেছে, আর পাঁচটা শারীরিক অসুস্থতা বিমার আওতায় পড়লে মানসিক অসুস্থতা কেন পড়ে না! মনোরোগের ক্ষেত্রে কেন বিমা সুরক্ষা দেওয়া হয় না! বিচারপতিরা জানান, ২০১৭ সালে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের ২১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে দেশের একাধিক বিমা সংস্থা। ওই ধারা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার ক্ষেত্রে মানসিক রোগীদেরও প্রাধান্য দিতে হবে। শারীরিক অসুস্থতায় আক্রান্ত মানুষরা যেমন বিমার আওতায় পড়েন, ঠিক তেমনই মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রেও একই সুবিধা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও রকম বৈষম্য করা যাবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ বিমা সংস্থা বিমার আওতায় মানসিক রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে দেশের আইন লংঘন করছে। এক্ষেত্রে আদালতের সরাসরি অভিযোগের আঙুল উঠেছে আইআরডি-এর বিরুদ্ধে। 


আরও পড়ুন- কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্র সঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হলো ভারত


আইনজীবীর অভিযোগ, আইআরডিএ তো নিয়ম কানুন সবই জানে। তা হলে তারা কেন বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি! সেই আইনজীবী জানিয়েছেন, আইআরডিএ মনোরোগীদের বিমা বৈষম্যের ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত। শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যে আইআরডি-এর কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, দেশের বিভিন্ন সংস্থাগুলি কেন মনোরোগীদের বীমার আওতায় আনে না! কেন্দ্রের কাছেও জবাব চাওয়া হয়েছে এই নিয়ে।