ওয়েব ডেস্ক: জয়ললিতাকে প্রয়শই প্রার্থনা করতে দেখা যেত ও আস্তিক বলে মনে করা হত। তবুও, জয়ললিতার দেহ দাহ না করে সমাধীস্থ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল শেষ পর্যন্ত। কিন্তু কেন তামিলনাড়ু রাজ্য প্রশাসন ও নেত্রীর বন্ধু শশীকলার পরিবারের সিদ্ধান্তে সমাধীস্থ করা হবে তাঁর দেহ তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কারণটা জানালেন তামিলনাড়ু রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ আমলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই প্রবীন আমলার মতে, "তাঁকে আমরা কখনই আয়াঙ্গার মতালম্বী মনে করি না। বরং তিনি অনেকটাই জাতপাত ও ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে। এমন কি পেরিয়ার, আন্না দুরাই এবং এমজিআর-এর মতো অধিকাংশ দ্রাবিঢ় নেতাকে সমাধীস্থই করা হয়েছে। আমরা চাইনি তাঁদের দেহকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে, সে যতই তাঁদের মৃত্যু হয়ে যাক। তাই, এঁদের সক্কলকেই আমরা চন্দন কাঠের বাক্সে গোলাপ জলের সুগন্ধের মধ্যে সমাধীস্থ করেছি।" তাঁর আরও মত, সমাধীস্থ করা হলে পরবর্তী কালে তাঁদের ভক্তরা সেই সমাধীর কাছে গিয়ে তাঁদের স্মরণ করার সুযোগ পান এবং এক্ষেত্রে সেই মানুষটির শরীর শায়িত আছে এই বোধটাই তাঁদের মনে এক অনন্য আবেগের জন্ম দেয় যা পুড়িয়ে ফেললে আর সম্ভব হয় না।


আরও পড়ুন- ডিসেম্বর মাসকে 'ভয়' পায় তামিলনাড়ু!


আর তাই, 'বিপ্লবী নেত্রী'কে মেরিনা বিচের অগ্নি শয্যায় শায়িত না করে, তাঁর শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায়াত ও সমাধীস্থ এমজিআর-এর পাশেই।