নিজস্ব প্রতিবেদন: PM কিষাণ সম্মান নিধির(Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) যোজনার ১৮,০০০ কোটি টাকা কৃষকদের দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে এই প্রকল্পে নিয়ে কথাও বলেন। পাশাপাশি এই প্রকল্প নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নয়া ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পেছনে বিরোধীদের মদতের অভিযোগ তেলেন প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-PM-Kisan scheme : ন'কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্ট-এ আজ ১৮০০০ কোটি টাকা দিলেন PM Modi


পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamta Banerjee)সরকার কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের টাকা থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করেছেন বলে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলা দেশের একমাত্র রাজ্যে যেখানে ৭০ লাখ কৃষক কেন্দ্রের ওই সুবিধে থেকে বঞ্চিত। শুধুমাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে এভাবে কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় বাম সরকার ৩৪ বছর ছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনুন। বুঝতে পারবেন সিপিএম বাংলার কৃষকদের কী হাল করেছিল। এখন সেই মমতা রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করছেন।


বর্তমানে দেশে যেসব বিরোধীরা দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে হাওয়া দিচ্ছে। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলছে না। বাংলার কৃষকদের নিয়ে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।


বিরোধীরা অভিযোগ করছে নয়া কৃষি আইনে মান্ডি ব্যবস্থা উঠে যাবে। এমএসপি বন্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। কেরলে বর্তমানে বাম সরকার, এর আগে সেখানে কংগ্রেস সরকার ছিল। সেখানে এখনও মান্ডি ব্যবস্থা নেই কেন! এখন পঞ্জাবের কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। দয়াকরে কৃষকদের ভুল বোঝাবেন না।


ভালো করে শুনে রাখুন, কৃষকরা যেখানে ভালো দাম পাবেন সেখানেই ফসল বিক্রি করুন। এমএসপিতে চাইলে এমএলপিতে বিক্রি করুন, বাইরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে চাইলে সেখানে বিক্রি করুন। চাইলে অন্যরাজ্য বিক্রি করুন। কোনও সমস্যা নেই।


সরকারের কৃষি নীতি ব্যখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ছোট কৃষকের সংখ্যা ৮০ শতাংশ। এরা পূর্ববর্তি সরকারের আমলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেত না, কৃষি বিমার সুযোগ পেত না। ফসল বিক্রি করতে গিয়ে তারা নাজেহাল হয়ে যেতেন।  কৃষকদের ছোট ছোট সমস্যা গত সরকারে আমলে আমল দেওয়াই হয়নি। সব জেনে শুনেও কিছুই করা হয়নি।


আমরা শুনেছি, বিদেশে কৃষি ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত। আমরাও সেই দিকে এগোচ্ছি। সয়েল হেলথ কার্ড, ইউরিয়ায় নিম কোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। কৃষকরা এখন পিএ কৃষক যোজনার লাভ পাচ্ছেন। ফসল বিমা পাচ্ছেন। দিন বদল হচ্ছে। তাই কৃষির প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও বদল করতে হবে।


আরও পড়ুন-কোচবিহারে BJP কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


নাম মাত্র প্রিমিয়াম দিয়ে কৃষকরা এখন ফসলের বিমা করতে পারছেন। দেশের কৃষকরা এখনও পর্যন্ত ৮৭,০০০ কোটি টাকা বিমা পেয়েছেন।


পূর্ববর্তি সরকার সব জেনে শুনেও স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট লাগু করেনি। আমরা তা করেছি। বিরোধীরা ওখন ভুল বোঝানো শুরু করে দিয়েছে। 


বিরোধীরা যখন সরকারে ছিল তখন ভাবতেই পারেনি মাইক্রো ইরিগেশন করা যায়। তামিলনাড়ুতে তা করে ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে।


কৃষকদের ফসলের বাজার চাই। তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে কোল্ড স্টোরেজ। দেশে এরকম ১০,০০০ কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে। 


কেউ বলছেন মান্ডি বন্ধ হয়ে যাবে, এমএসপি বন্ধ হয়ে যাবে। এইসব ভুল ছড়ানো হচ্ছে। কোথাও মান্ডি বন্ধ হয়েছেন কি এখনও! বরং এমএসপি বাড়ানো হয়েছে।


যারা আন্দোলেন করছেন তারাও বলছেন এমএসপিতে ফসল বেচেছেন। তার পর এরা আন্দোলন করছেন। নয়া আইন তৈরির পর রেকর্ড দামে কেন্দ্র ফসল কিনেছে।


কর্পোরেটদের সঙ্গে এগরিমেন্ট ফার্মিং চলছে পাঞ্জাবে। আগে এগরিমেন্ট ভাঙলে জরিমানা হত কৃষকদের। নতুন আইনে এসব হয় না। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।