নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিতর্কের কেন্দ্রে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। বিতর্ক মহম্মদ আলি জিন্নাহর একটি ছবিকে ঘিরে। ছবিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন এলাকার বিজেপি সাংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিগড়ের সাংসদ সতীশ গৌতম সম্প্রতি আলিগড়ের ভাইস চ্যান্সেলর তারিক মনসুরকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহর ছবি কেন থাকবে। তিনি অবশ্য জানেন না ওই ছবিটি বিশ্বদ্যিালয়ের কোন জায়গায় টাঙানো রয়েছে। তবে তা ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।


আরও পড়ুন-ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট না হলে ভোটের দিন ঘোষণার মানে কী?


বিজেপি সাংসদের দাবি, ‌’যে লোকটি দেশভাগের জন্য দায়ি তার ছবি কেন রাখা হবে? বিশ্ববিদ্যালয় ‌যদি সত্যিই কোনও বিশিষ্ট মানুষের ছবি রাখতে চায় তাহলে ওরা মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংয়ের মতো মানুষের ছবি রাখুক। উনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছিলেন।’



জিন্নাহর ছবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরই বিভিন্ন মহলে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়ে ‌যায়। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ফাইজাল হাসান সংবাদ মাধ্যমে বলেন, জিন্নাহর ওই ছবিটি ১৯৩৮ সাল থেকে রয়েছে। এখন সরকার ‌যদি ছবিটি সরাতে বলে তাহলে এনিয়ে ভাবা ‌যেতে পারে।



এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসং‌যোগ আধিকারিক সায়ফি কিদওয়াই সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘১৯৩৮ সালে জিন্নাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। সময় তাঁকে সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তখন থেকে ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।’ পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী এস পি মৌ‌র্য বলেন, ‘এই দেশ তৈরিতে ‌যাঁদের অবদান রয়েছে তাদের দিকে আঙুল ওঠানো খুবই খারাপ বিষয়। দেশভাগের আগে এই দেশ গঠনে জিন্নাহর অবদান ছিল।’


আরও পড়ুন-‘চিরকুট না দেখে কংগ্রেস সরকারের সাফল্য  সম্পর্কে ১৫ মিনিট বলে দেখান’, রাহুলকে চ্যালেঞ্জ মোদীর


অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের বর্তমান সভাপতি মাসকুর আহমেদ উসমানি বলেন, ‘অবিভক্ত ভারতে জিন্নাহ ছিলেন হিরো। দেশভাগের আগেই জিন্নাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। সতীশ গৌতমের উচিত ছিল চিঠিটি ভিসি-কে না পাঠিয়ে ছাত্র সংসদে পাঠানো। কারণ ছবিটি ছাত্র সংসদের হলে টাঙানো রয়েছে। সেখানে চিঠি এলেই উপ‌যুক্ত জবাব পেতেন গৌতম।’