নিজস্ব প্রতিবেদন- জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা এখন যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালে ৩২৩৩ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছিল পাক সেনা। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৫২। শুধুমাত্র নভেম্বর মাসেই এখনো পর্যন্ত ১২৮ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ফায়ারিং করেছে পাকিস্তানি সেনা। অক্টোবর মাসে সীমান্তের ওপার থেকে ৩৯৪ বার ফায়ারিং হয়েছে। আলোর উৎসবে মেতেছে ভারত। আর দেশবাসীর এই আনন্দের মুহূর্ত কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে পাকিস্তানের সেনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাক সেনার কাপুরুষোচিত আক্রমণে বিএসএফ ও ভারতীয় সেনার পাঁচ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নদীয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের সুবোধ ঘোষ। সীমান্তবর্তী এলাকায় ছজন নিরীহ গ্রামবাসীও পাক সেনার গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাদের তিনজন কমান্ডো সহ মোট ১১ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানি সেনার বাঙ্কার, ফুয়েল ডাম্প, লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার পাল্টা মারে ১৬ জন পাকিস্তানি সৈনিক গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এই মার আর পাল্টা মারের প্রথা আর কতদিন চলবে! আর কতদিন পাকিস্তানি সেনা সংঘর্ষ বিরোধী লঙ্ঘন করে কাপুরুষের মতো আক্রমণ করে যাবে! 


আরও পড়ুন-  দীপাবলির রাতে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮৮ লাখ, যদিও কমল সক্রিয় আক্রান্ত


উৎসবের মরশুমে কেন নিরীহ ভারতবাসীদের টার্গেট করা হল! এবার পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। পাকিস্তানি হাইকমিশনের অফিসারকে তলব করল বিদেশমন্ত্রক। তারপর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হল, কেন উৎসবের মরসুমে নিরীহ গ্রামবাসীদের টার্গেট করল পাকিস্তানি সেনা! এছাড়াও সীমান্ত দিয়ে বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হল সেই অফিসারের সামনে। জানানো হল, পাক সেনার মদতেই জঙ্গিরা এদেশে অনুপ্রবেশ করছে। আর তার যোগ্য প্রমাণ ভারতের হাতে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি পাক হাইকমিশনের সেই অফিসার। পাক হাই কমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স- কে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দিনের পর দিন তাদের সেনা সংঘর্ষ বিরোধী লঙ্ঘন করলে ভারতীয় সেনা চুপ করে বসে থাকবে না।