নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার কি ত্রিপুরাতেও তৈরি হবে নাগারিকপঞ্জি? এমনই ইঙ্গিত মিলল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কথায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জি তৈরিতে অসমে যদি সাফল্য পাওয়া যায় তাহলে ত্রিপুরাতেও তা করা হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্র যদি নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আইন আনে তাহলে রাজ্যে তা বলবত করবে ত্রিপুরা সরকার।


আরও পড়ুন-৫ রাজ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা, ভোটগ্রহণ শুরু ১২ নভেম্বর


উল্লেখ্য, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে এখন দেশজুড়ে বিতর্ক এখনও চলছে। এনিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই বিপ্লব দেবের এই মন্তব্য। শনিবার সাংবাদিকদের বিপ্লব বলেন, অসমে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কী হচ্ছে সবাই লক্ষ্য করছে। গোটা প্রক্রিয়াটা শেষ হয়ে গেলে আমারও ত্রিপুরাতে তা করব। দেশের সব রাজ্যেই তা হবে।


উল্লেখ্য, অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে কয়েক লাখ বাংলাদেশি বাসবাস করছে বলে মনে করা হয়। নাগরিকপঞ্জি তৈরি হচ্ছে সেইসব অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার জন্য। ইতিমধ্যেই নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ৩০ জুন। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। এতেই দেশজুড়ে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন-আনন্দপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, ধৃত আশিসের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল অর্চনার!


বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। পাশাপাশি বিজেপিও এনিয়ে সরব হয়েছে। দলের সাভাপতি সাফ জানিয়েছেন, প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করবে সরকার। এদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের ইতিমধ্যেই ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।


এদিকে, নতুন বিতর্ক তৈরি করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ইমাম জানিয়েছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, যাদের নাম এনআরসিতে নেই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না।‘ তবে কবে কখন প্রধানমন্ত্রী ওই আশ্বাস দিয়েছেন তা ইমাম উল্লেখ করেননি। ইমাম আরও দাবি করেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এমন কোনও কাজ(প্রত্যর্পণ)করবে না বলে একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।