কমলিকা সেনগুপ্ত: 'বিকাশ গাণ্ডো থাও চে'- এই বাক্যের নতুন অর্থ বাতলেছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। বাস্তবে উন্নয়ন হচ্ছে এটাই নাকি তার মানে। সম্প্রতি 'বিকাশ গাণ্ডো থাও চে' এই লাইনে একটি গান দেশজুড়ে ভাইরাল হয়ে ওঠে। এই লাইনের অর্থ হল, বিকাশ পাগল হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বারবার নিজের রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। নির্বাচনের মুখে সত্যিই কি উন্নয়নকে ইস্যু করে ঘরে ফসল তুলতে পারবে বিজেপি? নাকি জিএসটি বা নোটবাতিলকে ইস্যু করে 'মোদী-বাতিল' করতে সক্ষম হবে কংগ্রেস? কী বলছে গুজরাটবাসী? একেবারে মোদীর রাজ্যে বসে চা-পে চর্চায় সেই উত্তর খুঁজল ২৪ ঘণ্টা ডট কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মোদী পেরেছেন, রূপানি পারবেন? সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে কিছুটা কোণঠাসা বিজেপি


নোটবাতিল কিংবা জিএসটি এই দুই সিদ্ধান্তে গুজরাটের ব্যবসায়ী মহলে যে ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা জিএসটি ঘোষণার পর বারবার রদবদলেই স্পষ্ট। পাশাপাশি আমজনতাও নাজেহাল হয়েছে এই দুই পদক্ষেপে। যার ফলে অনেকেই কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাজকোটের এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, "জিএসটি, নোটবাতিলে অনেক দুর্ভোগ হয়েছে। এবার কংগ্রেসকে ভোট দেব।" তবে, সে কথা মানতে রাজি নন আর এক যুবক। তিনি বলেন, "এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর দিয়েছে। ক্যামেরা বসেছে। বিকাশ হচ্ছে। ভোট ভাজপাকেই দেব।" এই কথা মানছেন এক চা-বিক্রেতাও। তিনি আবার বলেন, "মোদী চা বিক্রি করতেন। আমিও চা বিক্রি করি। মোদীকেই ভোট দেব।" রাজকোট হোক বা সুরাট, মানুষ যেখানেই আড্ডার মেজাজে, সেখানেই আলোচ্য হয়ে উঠছে ভোট। পাল্লা যে কার দিকে ঝুঁকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই চোখ রাখতেই হবে আগামী ১৮ তারিখের দিকে। সেদিনই ঠিক হয়ে যাবে বিকাশ আদৌ পাগল হয়েছে নাকি পাগল করে ছাড়বে!


আরও পড়ুন- ''ইন্দিরার পর মমতা,'' ২৪ ঘণ্টাকে বললেন হার্দিক পটেল


দেখুন মোদীর রাজ্যে চায়ে পে চর্চা