দীপাবলির পর রাম মন্দির নিয়ে `সুখবর` ঘোষণা যোগীর, ইঙ্গিত বিজেপির
বিজেপির রাজ্য সভাপতি মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের দাবি, দীপাবলির পরই পরিকল্পনা নিয়ে আসছে যোগী সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাম মন্দির নির্মাণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ভরসায় থাকতে চাইছে না যোগী সরকার? শুক্রবার সেই ইঙ্গিত দিলেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। তাঁর দাবি, দীপাবলির পরই সুখবর ঘোষণা করতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ।
মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের কথায়,''যোগী শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, উনি বড় সন্তও। অযোধ্যার জন্য নিশ্চিতভাবে তাঁর কাছে পরিকল্পনা রয়েছে''। কী পরিকল্পনা বিজেপি সরকারের রয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করেননি মহেন্দ্রনাথ। তবে দীপাবলির পরই যে বড় ঘোষণা হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর বক্তব্য, দীপাবলি আসতে দিন। সুখবরের অপেক্ষা করে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেই ঘোষণা করবেন''।
এদিনই আবার রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়িয়েছে আরএসএস। শুক্রবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। আরএসএস-এর বিজয়া দশমী সম্মেলনের মধ্যে এই বৈঠকের পর আরও সরগরম হয়ে উঠেছে মন্দির রাজনীতি। বৈঠকের পর এক সাংবাদিক বৈঠক করে আরএসএস নেতা ভাইয়াজি জোশি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালতের রায়ের অপেক্ষা করতে পারবে না দেশের হিন্দুরা।
ভাইয়াজি জোশি স্পষ্ট করেছেন, আইনি পথে রাম মন্দির নির্মাণে দেরি হলে অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত খোলা রাখতে হবে সরকারকে। সেক্ষেত্রে অধ্যাদেশ বলে জমি অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে রাম মন্দির।
ওদিকে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে সংসদে ব্যক্তিগত বিল পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাকেশ সিনহা। কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে বয়ানও জারি করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন কংগ্রেস বিল সমর্থন করবে তো?
তাত্পর্যপূর্ণভাবে এদিন ভাইয়াজি জোশি বলেন, অধ্যাদেশ দাবি করা আমাদের অধিকার। আমরা তাই করেছি। সরকার অধ্যাদেশ জারি করবে কি না তা তারাই ঠিক করবে। সঙ্গে তিনি বলেন, রাম মন্দির তৈরির দাবিতে দরকারে ১৯৯২ সালের মতো আন্দোলন ফের গড়ে তুলবে আরএসএস। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে ভাবে রাম মন্দির মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে তাতে অপমানিত বোধ করছেন দেশের হিন্দুরা।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের হয়ে মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার করার কথা স্বপ্নেও ভাবি না: প্রহ্লাদ মোদী