নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মা-বাবার সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। যার ফলে, সোমবার ওই মহিলার পক্ষেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এ দিন জানায়, তিনি প্রাপ্তবয়স্কা, নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তাঁর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘ভিন্ন ধর্মের’ বিয়েকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটনার সূত্রপাত। বছর তেত্রিশের মুসলিম যুবক ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন। এমনকী নিজের নাম পাল্টে আরিয়ান আর্য করে নেন তিনি। কিন্তু, এরপরও ‘মন জয়’ করতে পারেননি স্ত্রীর পরিবারের। ২৩ বছর বয়সী ওই মহিলা জৈন ধর্মাবলম্বী। মেয়েটির পরিবার থেকে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি। আর্য নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাঁর উপর বারংবার চাপ তৈরি করছে মেয়ের পরিবার এবং বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে ১৭ অগস্ট শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।


আরও পড়ুন- এই প্রথম ভারতের আকাশে উড়ল জৈব জ্বালানি চালিত বিমান


সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আর্যের আইনজীবী নিখিল নায়ারের সওয়াল শোনার পর ধামতারির এসপি-কে ওই মহিলাকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেয়। গত ২৭ অগস্ট ওই মহিলা আদালতে হাজির হন। বিচারপতিদের জানান, তাঁর উপর পরিবারের কোনও চাপ নেই। তিনি স্বেচ্ছায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতে চান। তবে ওই মহিলা আদালতে স্বীকার করেছেন, নিজের ইচ্ছায় আর্যকে বিয়ে করেছেন তিনি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জুগল কিশোর গিলদা অবশ্য বলেন, “এই বিবাহের কোনও ভিত্তি নেই। এর আগে দু’দুবার ডিভোর্স দিয়েছেন ওই ব্যক্তি এবং সেটি গোপনও রেখেছেন।” তবে, আর্য্যের কৌঁসুলির পাল্টা অভিযোগ, মেয়েটির পরিবার চাপ দিয়ে তাঁকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন- ভোটের ঢাকে কাঠি, মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে দিনভর বৈঠকে মোদী-শাহ


শীর্ষ আদালত এ দিন ওই মহিলার বক্তব্য শোনার পর জানায়, এক জন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা তাঁর স্বাধীনতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এটি বিবাহ সম্পর্কিত বিষয় হওয়া তাঁদের বিচার বিশেষ আদালতে হবে বলে জানায় প্রধান বিচারপতির এই বেঞ্চ।