যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, পাঁজর,পায়ের হাড় ভেঙে ৫০ বছরের প্রৌঢ়াকে গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে
পায়ের উপরও ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়। জানা গিয়েছে, এলাকার পরিচিত পুরোহিত বাবা সত্যনারায়ণ। বাবার কাছেই পুজো দিতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশে। প্রায় সেই একইভাবে গাড়িতে গণধর্ষণ করা হল ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়াকে। মধ্যরাতে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সেই রড দিয়ে মারা হয় ওই মহিলাকে। ভেঙে দেওয়া হয় পাঁজর ও পায়ের হাড়। রক্তপাতের পরিমাণ এতটাই ছিল, যে সাদা হয়ে যায় তাঁর গোটা শরীর। ধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায় ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। ওই প্রৌঢ়া স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বলে খবর। তারপর বাড়ি না ফেরায়, থানায় অভিযোগ করে পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে যখন উদ্ধার করা হয় ওই প্রৌঢ়াকে, তখন তাঁর শরীরে ধিক ধিক করছে প্রাণ। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও , বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে পরিবার। বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।
পরিবার জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করার পর শুধুমাত্র সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুরে আসে পুলিস। এছাড়া কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে ঘটনায় পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায়, ভারী কিছু তাঁর বুকে উপর বার বার করে ফেলা হয়েছে। তাতেই ভেঙে গিয়েছে পাঁজর। পায়ের উপরও ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়। জানা গিয়েছে, এলাকার পরিচিত পুরোহিত বাবা সত্যনারায়ণের মেয়ে ওই নির্যাতিতা। বাবার কাছেই পুজো দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হাথরাস ঘটনার জের শেষ হতে না হতেই ৩ মাসের মাথায় ফের যোগীরাজ্যে ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। সে সময়ও পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।