জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলন্ত বাসের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এক গৃহবধূ। প্রবল আঘাত পেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানলেন তামিলনাডুর সালেমের ওই মহিলা। স্বামী নেই, সন্তানদের নিয়ে থাকেন। ছোটখাটো একটা কাজও করেন। তার পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত শুনলে চমকে যেতে হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বাম-কংগ্রেস কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছেন বিরোধী নেতারা, মোদীর মুখে বাংলার ভোট অশান্তি


সালেমের জেলা শাসকের দফতরে সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করতেন পাপাথি(৪৫) নামে ওই মহিলা। ১৫ বছর আগে ছেড়ে স্বামী চলে গিয়েছে। তার পর থেকে একা হাতেই সন্তানদের বড় করেছেন তিনি। তার পরেও কেন চলন্ত বাসের সামনে ঝাঁপ দিতে গেলেন? তদন্তে নেমে চমকে গিয়েছে পুলিস। গত ২৮ জুন বাসের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাপাথি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


পাপাথিকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে ছেলের পড়াশোনার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন ছিল তার। পরিচিত একজন তাকে যুক্তি দেয়, বাস দুর্ঘটনা হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। ২৮ জুনের আগেও সে একবার বাসের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঝাঁপাবার আগেই তাকে ধাক্কা মারে একটি বাইক। রাস্তায় পাশে ছিটকে পড়ে সে কোনওক্রমে বেঁচে যায়। তারপর ফের দ্বিতীয়বার ঝাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করে।


ছেলের কলেজের ৪৫ হাজার টাকা ফি দিতে পারছিলেন না পাপথি। কী করবেন ভেবেও কোনও রাস্তা বের করতে পারছিলেন না। শেষপর্যন্ত ঠিক করে ফেলেন, বাসের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তাকে দুর্ঘটনার আকার দিয়ে সরকারের  কাছে থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন। সেই টাকা পাবে তার ছেলে মেয়ে। কিন্তু তা হল না। বাসের প্রবল আঘাতেই প্রায় একমাস পরে প্রাণ হারালেন ওই মহিলা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)