সবরীমালায় কম বয়সি মনে হলেই প্রমাণপত্র দিতে হচ্ছে মহিলাদের
এমনই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর এক মহিলার সঙ্গেও। হঠাত্ করে বিক্ষোভকারীদের কাছে খবর আসে, ৫০ বছরের কম বয়সি এক মহিলা আয়াপ্পা দর্শনে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে পড়েছেন। এমন খবর ছড়াতেই ১৪৪ ধারা ভেঙে ওই মহিলার খোঁজে মন্দির প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: চার দিনে পড়ল। এখনও কোনও মহিলা সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেন না। বিক্ষোভকারীদের নজর এড়িয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে ঢোকার সাহস দেখাতে পারছেন না কম বয়সি মহিলারা। অভিযোগ উঠছে, যাঁদের কম বয়সি দেখতে বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বিক্ষোভকারীরা। শনিবার এক মহিলা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। শেষমেশ বয়সের প্রমাণপত্র দেখিয়ে ওই মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা: সেলফির নেশাতেই বেঘোরে এতগুলি মৃত্যু? দেখুন সেই ভিডিও
ট্রিচি থেকে আসা লাথা নামে ওই মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। রতীশ কুমার নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ওনাকে কম বয়সি দেখতে লাগায় মন্দিরের রীতি অনুযায়ী বাধা দেওয়া হয়। আমরা তাঁর প্রমাণপত্র দেখতে চাই। যখন তাঁর ৫২ বছর বয়সের প্রমাণ দেখান ওই মহিলাকে তারপরই আয়াপ্পা দর্শনে অনুমতি দেওয়া হয়।” এরপর নিরাপত্তা দিয়ে ওই পরিবারকে মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- সবরীমালার দরজা খুলতে অস্বীকার পুরোহিতের, আয়াপ্পা দর্শন না করেই ফিরতে বাধ্য হলেন ২ মহিলা
এমনই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর এক মহিলার সঙ্গেও। হঠাত্ করে বিক্ষোভকারীদের কাছে খবর আসে, ৫০ বছরের কম বয়সি এক মহিলা আয়াপ্পা দর্শনে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে পড়েছেন। এমন খবর ছড়াতেই ১৪৪ ধারা ভেঙে ওই মহিলার খোঁজে মন্দির প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে ওই মহিলাকেও প্রমাণ করতে হয় তিনি ৫০ বছরের উর্ধ্বে। কম বয়সি এক মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করার ভুয়ো খবর ছড়ায় সোশ্যাল মাধ্যমে। নিউজ চ্যানেলেও ক্যামেরাবন্দি করে। এরপর ওই মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রুখে দেন বলে খবর।
সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পর গত বুধবার প্রথম সবরীমালার মন্দির খোলে। তার আগের থেকেই মন্দির প্রবেশের বেসক্যাম্প নীলাক্কলে ব্যাপক তল্লাসি চালায় বিক্ষোভকারীরা। কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেন তাঁরা। বুধবার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। তুমুল উত্তেজনার মধ্যে কোনও মহিলাই প্রবেশ করতে পারেননি। ভক্তদের একাংশ মহিলা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে অন্যান্য মহিলাদের বাধা সৃষ্টি করে। আরএসএস, বিজেপি, কংগ্রেস সব বিরোধী দলই বিরোধিতা করেছে শীর্ষ আদালতের রায়ের। কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে এই রায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুর্নবিবেচনা করা উচিত বলে কংগ্রেস দাবি করে। তবে, শীর্ষ আদালতের রায়কে বলবত্ করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত ফলাফল শূন্য।