নিজস্ব প্রতিবেদন: জায়গার নামে করোনা ভাইরাসকে চিনে নেওয়ার পদ্ধতিটি আপত্তিকর হলেও নতুন নয়। আগে আগে 'ইউকে স্ট্রেন' বা 'সাউথ আফ্রিকা স্ট্রেন' নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। এবার আবার চর্চা চলছে 'ইন্ডিয়ান স্ট্রেন' নিয়ে। আর এখানেই আপত্তি তুলেছে ভারত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব মাতিয়ে তোলা এবারের করোনা ভাইরাসটির নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন বি.১.৬১৭ (B.1.617 Covid variant)। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই নতুন প্রজাতিটি বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের 'ভারতীয় রূপ' (Indian variant) হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে। এমন নামকরণে আপত্তি তুলেছে ভারত। বুধবার তার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' (হু)-র ভার্সনে 'ভারতীয়' শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি, 'হু' কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতির ভাইরাসকে কখনও কোনও নির্দিষ্ট দেশের নামে চিহ্নিত করেনি। ভারত জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল করোনাভাইরাসের (coronavirus) নতুন চলতি এই প্রজাতিটি। এটিকে 'হু' সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের অন্তত ৪৪টি দেশে। তবে 'হু'-র নথিতে কোথাও এক্ষেত্রে 'ভারতীয়' শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি।


আরও পড়ুন কুম্ভমেলা ফেরত ৬৭ বছরের বৃদ্ধা 'সুপার স্প্রেডার', তাঁর থেকে Corona আক্রান্ত ৩৩ জন


ভারতের এই মতকে সমর্থন করেছে World Health Organisation (WHO)-ও। 'হু'-র তরফে বুধবার 'ভারতীয় ভাইরাস' বিতর্কে একটি টুইট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে--'আমরা কখনওই কোনও ভাইরাসকে সেটিকে যে দেশে প্রথম পাওয়া যায়, সেই দেশের নামে নামকরণ করি না। আমরা সব সময়ই ভাইরাসকে বিজ্ঞানভিত্তিক নামে (Scientific name) চিহ্নিত করি। এবং সকলকেই সেই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিই।'


বি.১.৬১৭ ভাইরাসটিকে 'ডাবল মিউট্যান্ট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল আগেই। কেননা এর জিনোমে দু'টি 'চেঞ্জ' দেখা যায়-- একটি  E484Q, অন্যটি L452R। কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসন্ধানের লক্ষ্যে এই প্রজাতির ভাইরাসকে 'ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট' (variant of interest)-এর তালিকাভুক্ত করার কথাও আগেই জানিয়েছিল 'হু'।


আরও পড়ুন: Covaxin উৎপাদন শুরু করতে এত দেরি কেন, কেন্দ্রকে প্রশ্ন বিরোধীদের