নিজস্ব প্রতিবেদন:  ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে ভারতকে ৩০ ধাপ এগিয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এবার ভারতীয় অর্থনীতির প্রশংসা করে তারা জানাল, ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ ও মধ্য আয়ের অর্থব্যবস্থা হবে ভারত। জিএসটি-র মতো পদক্ষেপ নিয়ে মোদীর তুলোধনা করছে বিরোধীরা, কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্কের গুডবুকে নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে ভারতে ব্যবসা সংস্কার শীর্ষক একটি সম্মেলনে  বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, ''গত তিন দশকে ভারতের মাথা পিছু আয় চারগুণ বেড়েছে। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে বিশ্বে সর্বাধিক উচ্চ ও মধ্য আয়ের দেশ হবে ভারত।''    


বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও-র কথায়, ''ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের তালিকায় ৩০ ধাপ উঠে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। এটা নজিরবিহীন সাফল্য। ক্রিকেট পাগল দেশে সেঞ্চুরির মর্ম আমি বুঝি। মাইলস্টোন স্পর্শ করেছে ভারত। এই সাফল্য আগামিদিনে আরও আর্থিক সংস্কারে উদ্বুদ্ধ করবে। '' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর গলায়। তিনি বলেন, ''বিদেশি বিনিয়োগে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রভাব পড়েছে। ২০১৩-১৪ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তা দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।''


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ভারত গঠনের শপথ নিয়েছেন। ২০২২ সালেই দেশ থেকে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্য তাঁর। সেই লক্ষ্য বেশ কঠিন বলে মনে করেন বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও। তবে মোদী যেভাবে কাজ করছেন, তাতে অসম্ভবকেও তিনি সম্ভব করে তুলতে পারেন বলে মত ক্রিস্টলিনার। তাঁর কথায়, ''ভারত থেকে চরম দারিদ্রকে দূর করতে ২০২৬ সালের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে ২০২২ সালেই পৌঁছতে চান নরেন্দ্র মোদী। ওনার এখনও পর্যন্ত কাজ দেখে আমার মনে কোনও সংশয় নেই, যে উনি পারবেন।''     


আরও পড়ুন, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১৮০০ কোটির ডিজিটাল লেনদেন হবে : অর্থমন্ত্রক