নিজস্ব প্রতিবেদন- রাস্তা নাকি রেসিং ট্র্যাক! একে তো করোনার উত্পাতে মানুষের জেরবার অবস্থা। দফায় দফায় চলছে লকডাউন। তার উপর রাস্তাঘাটে বাইকারদের দাপট। লকডাউনের জেরে এখন বেশিরভাগ সময় রাস্তা ফাঁকা থাকছে। আর এমন ফাঁকা রাস্তা পেলে বাইকারদের আর কী চাই! অনেক সময় বাইকাররা রাস্তায় অস্বাভাবিক গতি তোলেন। রাস্তাই হয়ে ওঠে রেসিং ট্র্যাক। ট্রাফিক আইনের ধার ধারেন না অনেক বাইকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ম ভাঙার জন্য বাইকারদের কোনও শাস্তি হয় না। কারণ সাধারণত রাতের দিকেই তাঁরা এমন গতির ঝড় তোলেন। আর সেই সময় রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঙ্গালুরুর এক বাইকার কিন্তু দিনের আলোতেই ট্রাফিক আইন ভাঙলেন। ধরা তিনি পড়তেন না। কিন্তু নিজের দোষেই ফেঁসে গেলেন আইনের গেরোয়। হাজার সিসি-র মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি গতি তুলেছিলেন ঘণ্টায় ২৯৯ কিমি। ভারতের রাস্তায় এই গতি অস্বাভাবিক তো বটেই! তাঁর এমন গতির জন্য প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারত। তিনি নিজের এবং অন্যদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন। এই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ পুলিসের। ফাঁকা ফ্লাইওভার পেয়ে তিনি Yamaha R1 সুপারবাইকের গতি তুলে দেন ২৯৯ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। আর নিজের এমন বাহাদুরির ভিডিয়ো পোস্ট করে দেন ইনস্টাগ্রামে। তার পরই বিপত্তি।


আরও পড়ুন-  ভিডিয়ো: প্রকাশ্যে গুলি সাংবাদিককে, মেয়ের সামনে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা



বেঙ্গালুরুর ই-সিটি ফ্লাইওভারের উপর নিজের হাজার সিসি সুপারবাইক ওভারস্পিড-এ চালিয়েছেন মুনিয়াপ্পা নামের এক বাইকার। তিনি সেই ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিয়ো পুলিসের চোখে পড়ে। তার পরই মুনিয়াপ্পাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এমনকী তাঁর দামি সুপারবাইক আটক করেছে পুলিস। বেঙ্গালুরুর জয়েন্ট পুলিস কমিশনার সন্দীপ পাতিল জানিয়েছেন, ওই ফ্লাইওভারে দশ কিমি রাস্তায় চারটি লেন রয়েছে। ওখানে উইকএন্ডে প্রায়ই চারচাকা ও দুচাকার ওভারস্পিডিং-এর ঘটনা ঘটে। পুলিস এর আগে অনেকবার বাইকারদের ধরপাকড় করে সাবধান করেছে।