নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র আড়াই দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হল ইয়েদুরাপ্পাকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ৭ দিনের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তিন দফায় কোনওবারই মুখ্যমন্ত্রী থাকার ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি ইয়েদ্দি। তবে খাদের কিনারা থেকেও নিজেকে টেনে এনেছেন। এক সপ্তাহের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও প্রবলভাবে ফিরে এসেছেন ইয়েদুরাপ্পা। এমনকি দলছাড়া হয়েও আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। শনিবারও বিধানসভার অধিবেশনে ইয়েদুরাপ্পা বলেন,''এমন অগ্নিপরীক্ষা জীবনে অনেকবার দিয়েছি। আবারও দেব।'' এর পাশাপাশি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাঁচ বছরের আগেই ফের নির্বাচন হতে পারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। শনিবার বিকেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় ইস্তফা দেন তিনি। এর আগেও দুবার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি কর্ণাটকের এই বিজেপি নেতা। 


ধরম সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল জেডিএস। এরপর বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন কুমারস্বামী। শর্ত ছিল, দুই দল পর্যায়ক্রমে অর্ধেক মেয়াদ শাসন চালাবে। ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দেবগৌড়ার পুত্র কুমারস্বামী। তারপর ৭ দিন রাজ্যপাট চালিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। কুমারস্বামী বেঁকে বসায় পড়ে গিয়েছিল তাঁর সরকার। ২০০৮ সালের মে মাসে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু ২০১১ সালের জুলাই মাসে বেআইনি খনিকাণ্ডে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। 


মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়ার পর বিজেপির সঙ্গে ইয়েদুরাপ্পার দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন হয়। কর্ণাটক জনতা পক্ষ নামে আলাদা দল গঠন করেন তিনি। আর ২০১৩ সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইয়েদুরাপ্পাহীন বিজেপি। তাদের ঝুলিতে আসে মাত্র ৪০টি আসন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ২০১৪ সালে ইয়েদুরাপ্পার মানভঞ্জন করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে মিশে যায় ইয়েদ্দির দল। ২০১৪ সালে ২৮টির মধ্যে ১৯টি আসন বিজেপিকে তুলে দেন ইয়েদুরাপ্পা। 


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে আড়াই দিনের বিজেপি সরকারের পতন, ইস্তফা ইয়েদুরাপ্পার