নিজস্ব প্রতিবেদন- আজ সকাল থেকেই তাঁর মেজাজ ভাল। সাংবাদিকদের অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরই তাই তিনি দিয়েছেন। সারাদিন ঘুরেছেন হাসিমুখে। যেন জীবনের সব থেকে বড় কাজটা তিনি করে ফেলেছেন। আর কোনও চিন্তা নেই। যোগী আদিত্যনাথকে দেখে আজ তাই মনে হচ্ছিল, নিশ্চিন্ত, গর্বিত। কথা রাখতে পেরেছেন। তাই মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভূমি পুজো সম্পন্ন হয়েছে। ব্যাপারটা তাঁর কাছে তো যুদ্ধজয়ের থেকে কম নয়। হাজার বাধা উপেক্ষা করে অযোধ্যায় শেষমেশ রাম মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু এবার তো সেখানে মজজিদ তৈরির কাজও শুরু হবে। সেখানেও কি উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিকরা যোগীর সামনে প্রশ্ন রেখেছিলেন, এবার মসজিদের শিলান্যাসে যাবেন? প্রশ্ন শুনেই যেন মুখ-চোখের চেহারা বদলে গেল যোগীর। রুক্ষ সুরে বললেন, ''আমাকে ওরা ডাকবেও না, আর আমি যাবও না।'' হাবভাব, কথাবার্তায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে মসজিদের শিলান্যাসে আমন্ত্রণ পাওয়ার আশা তিনি করেন না। আর আমন্ত্রণ এলেও তাঁর না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে যোগী মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে আরও বললেন, ''আমার যেটুকু কাজ আছে আমি করে দেব। আমার দায়িত্ব আমি পালন করব ঠিকই।'' 


আরও পড়ুন-  জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের একবছর, কী বদল হল কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে?


মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করাটা গর্বের। যোগী এই প্রসঙ্গে বললেন, ''আজকের দিনটা আমার কাছে আবেগের। একইসঙ্গে গর্বেরও। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যা দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেগুলি আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে পেরেছি। আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নপূরণের থেকে কম কিছু নয়। এই দিনটা তাই আমার কাছে উত্সাহ-আনন্দে ভরা। রাম মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব পালন করতে পারাটা আমার কাছে সৌভাগ্যের। রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের সংকল্প আজ পূরণ হল।''