নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঠাণ্ডার প্রকোপ যতই বাড়ছে, আন্দোলন ততই জোরদার হচ্ছে। তবে, এ বার এই আন্দোলনের মুখ মহিলা, শিশু এবং পড়ুয়া। সেখানেই প্রশ্ন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলনে পুরুষেরা কোথায়? প্রায় ৪০ দিন ধরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধরনা মঞ্চে ঠাঁয় বসে রয়েছেন মহিলারা। শিশুরাও থেমে নেই। মায়ের কোলে বসেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। এই আন্দোলন দেশজুড়ে আলোড়িত হয়েছে একটাই কারণে, পুরোভাগে রয়েছেন মহিলারা। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা সমাজের ‘রক্তচক্ষু’ এড়িয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয়া নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এক সভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি শাহিনবাগের আন্দোলনকে নিশানা করে ‘লিঙ্গ বৈষম্য’ বিতর্ক উস্কে দেন। যোগী বলেন, “পুরুষদের আন্দোলনের যোগ দেওয়ার সাহস নেই। মহিলারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে। শিশুদেরও হাতিয়ার করছে তারা।” যোগীর এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মহিলাদের এই আন্দোলনকে আদৌ খাটো করে দেখছেন না ভয় পাচ্ছেন?


আরও পড়ুন- মানব পাঠানোর আগে ISRO-র গগনযানে সওয়ার হয়ে মহাকাশে যাবে ব্যোমমিত্র


কেন পুরুষরা ঘরে লুকিয়ে রয়েছে তার উত্তরও যোগী দিয়েছেন। তাঁর কথায়, হিংসায় মদত দিলে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই ভয়ে লেপের তলায় লুকিয়ে রয়েছে পুরুষরা। মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে বড় অপরাধ করছে পুরুষরা। কিন্তু শাহিনবাগ বলছে অন্য কথা। সেখানে বিক্ষোভরত মহিলারা বলছেন, স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই যোগ দিয়েছেন এই প্রতিবাদ-ধরনায়। নিজেরাই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্যে না নিয়েই দেশে জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে শাহিনবাগ। তবে, পুরুষরা কোথায়? শাহিনবাগের এক মহিলা জানাচ্ছেন, পেট তো চালাতে হবে। তাঁরা সকালে কাজে বেরিয়ে যাচ্ছেন। রাতে পুরুষরাই খাবার বানিয়ে সাহায্য করছেন। অন্য এক আন্দোলনকারী বলছেন, মহিলারা প্রতিবাদ জানালে ওনার অসুবিধা কোথায়? আসলে ভয় পেয়েছেন তিনি। ঘর, সমাজের নানা ট্যাবু পেরিয়ে অধিকাংশ সংখ্যালঘু মহিলারা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তা এখন দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে।