নিজস্ব প্রতিবেদন: রাম লালার বেতন বাড়ালো যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এর সঙ্গে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং ৮ সদস্যেরও বেতন বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সুপ্রিম কোর্ট রাম লালা এবং অস্থায়ী মন্দিরের দেখভালের জন্য কেয়ারটেকার পুরোহিত নিযুক্তের নির্দেশ দেয়। রাম লালা রামের শৈশব অবতার বলে মনে করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অযোধ্যার বিভাগীয় কমিশনার মনোজ মিশ্র জানিয়েছেন, রাম লালার বেতন ২৬,২০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিগ্রহের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মন্দিরের বিদ্যুত, জল ও ভোগের জন্য ব্যয় হয় ওই টাকা। ভোগের জন্য ৮০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। কেয়ারটেকার পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসের মাসিক বেতন ১৩ হাজার টাকা এবং বাকি সদস্যদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ৭,৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে মাসে ৮,৪৮০ টাকা বেতন পেতেন সত্যেন্দ্র দাস। ১৯৯২ সালে সত্যেন্দ্রর বেতন ছিল মাত্র ১৫০ টাকা।


আরও পড়ুন- তিন তালাকের অভিযোগ জানাতে থানায় যাওয়ায় ৫ বছরের মেয়ের সামনে স্ত্রীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিলেন স্বামী


মনোজ মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে মামলার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। উল্লেখ্য, অযোধ্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রাম লালার সদস্যদের। ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করতে বলেছিল। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রাম লালা বিরাজমান এবং নির্মোহী আখড়ার মধ্যে ভাগ করার কথা বললেও এই সিদ্ধান্ত কেউ মেনে নেয়নি। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় তারা। সম্প্রতি অবসর বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের মধ্যস্থতা প্যানেল তৈরি করে রফা সূত্র বার করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তা-ও ব্যর্থ হওয়ায় এখন প্রতিদিন সুপ্রিম কোর্টেই অযোধ্যা মামলার শুনানি চলছে।