ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সংগীত না গাওয়ায় উত্তর প্রদেশের একাধিক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে ‌যোগী সরকার। সূত্রের খবর, তাদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা NSA প্রয়োগ করা ‌হতে পারে। এই আইনে কোনও ব্যক্তিকে কোনও কারণ না দেখিয়েই গ্রেফতার করতে পারে প্রশাসন। এমনকী আদালতকে কোনও কারণ না জানিয়ে ব্যক্তিকে ‌যতদিন খুশি হেফাজতেও রাখা সম্ভব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৩ জুলাই সেরাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসাকে এক নির্দেশিকা জারি করে ‌যোগী সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৫ অগাস্ট মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক। গোটা অনুষ্ঠানের ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। নির্দেশিকা মেনে মঙ্গলবার সেরাজ্যের প্রায় সমস্ত মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া হলেও বেশ কিছু জায়গায় নির্দেশ পালন হয়নি বলে অভি‌যোগ। তাদের বিরুদ্ধে ‌যোগী সরকার পদক্ষেপ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। 


বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, উত্তর প্রদেশের বেশিরভাগ জায়গায় মাদ্রাসাগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। তবে ভিডিওগ্রাফিতে আপত্তি ছিল অনেকেরই। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কিছু মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও জাতীয় সংগীতের বদলে গাওয়া হয় ইকবালের লেখা সারে জাহাঁ সে আচ্ছা। 


‌যোগী সরকার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ফরমান জারির পরই বেরৈলি শহরের এক মৌলানা তার বিরোধিতা করেন। বলেন, জাতীয় সংগীতে ব্যবহৃত শব্দ ইসলাম বিরোধী। এছাড়া উত্তর প্রদেশের একটি দরগার তরফে জাতীয় সংগীত না গাওয়ার নির্দেশ দিয়ে ফতোয়া জারি হয়। 


উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী বলদেব সিং জানিয়েছেন, ‌যে সমস্ত মাদ্রাসা সরকারি নির্দেশ মানেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেরৈলির ডিভিশনাল কমিশনার জানিয়েছেন, 'জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়নি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হবে।