ওয়েব ডেস্ক: ঝড় উঠেছে...তবে বাউল বাতাস নয়, যোগী হাওয়া। গত রবিবার (১৯শে মার্চ) উত্তরপ্রদেশের তখতে যোগী আদিত্যনাথ বসার পর থেকে আজ অবধি রাজ্য পুলিসে সাসপেন্ড হওয়া কর্মীর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত মোট ১০০। আর এই 'সাসপেনশনে'র পিছনে কারণ শৃঙ্খলা থেকে বিচ্যুতি (ডিসিপ্লিন রিলেটেড ইস্যু) বলে জানা গেছে 'হিন্দুস্তান টাইমস'-এর প্রতিবেদনে। শপথ নেওয়ার পরই যোগী আদিত্যনাথ সেরে ফেলেন তাঁর প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক। আর তার পরেই 'ব্ল্যাক শিপ' খুঁজে বের করতে পুলিস প্রধান জাভেদ আহমেদ জারি করেন এক নির্দেশিকা। মনে করা হচ্ছে, সেই কোপেই ধরাশায়ী হয়েছেন অধিকাংশ পুলিসকর্মী। সাসপেন্ড হওয়া পুলিসকর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই গাজিয়াবাদ, মীরাট এবং নয়ডা এলাকার। এছাড়াও লখনউ থেকেও সাসপেন্ড হয়েছেন ৭জন।



উল্লেখ্য, আজ সকালে সকলকে একপ্রকার চমকে দিয়ে লখনৌয়ের হজরতগঞ্জ থানায় হাজির হন আদিত্যনাথ। সেখানে কর্মরত পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সেখানকার কাজকর্ম নিয়েও খোঁজ নেন। হজরতগঞ্জ লখনৌয়ের সব থেকে বড় থানা। শহরের বিস্তির্ণ এলাকা রয়েছে এই থানার অধিনে। আজ তিনি হজরতগঞ্জ থানা পরিদর্শনের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমের পুলিস সুপারের সঙ্গেও দেখা করেন আদিত্যনাথ। পরে তিনি বলেন, ''এই ধরনের কাজ চলতে থাকবে। রাজ্যকে অপরাধমুক্ত অঞ্চল করে তবেই নিশ্বাঃস নেব আমি।'' (আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীকে ২৫ ঘা জুতো পেটা করে শিবসেনা সাংসদের নজিরবিহীন অসভ্যতা)